নেত্রকোণায় মন্দিরের চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার : গ্রেফতার-১

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণা জেলা শহরে কালিবাড়ি মন্দিরে দিনে-দুপুরে চার লক্ষাধিক টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার চুরির হওয়ার ৩০ ঘন্টার মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন অভিযান চালিয়ে চোরকে গ্রেপ্তার এবং চুরি যাওয়া সমুদয় স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করতে পেরেছে জেলা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত চোর সুমন চন্দ্র সরকার ওরফে আরাধন (৩২) জেলার আটপাড়া উপজেলার বাউসা কলাপাড়া গ্রামের স্বপন চন্দ্র সরকারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপুরের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ১লা ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলা শহরের সাতপাই কালিবাড়ি মন্দিরের প্রতিমার শরীরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার চুরির ঘটনা ঘটে। পরে মন্দিরের সিসি টিভির ফুটেজে চোরকে দেখা গেলেও ছবি স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছিল না। পরে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসীর নির্দেশে পুলিশের একটি চৌকষ টিম সি সি ফুটেজ, তথ্য প্রযুক্তি ও জেলখানা থেকে সম্প্রতি জামিনে বের হওয়া চোরদের তালিকা পর্যালোচনা করে প্রাথমিকভাবে একজনকে সনাক্ত করা হয়। পুলিশ ৩০ ঘন্টা জেলার বিভিন্ন স্থানে নিরবচ্ছিন্ন অভিযান চালিয়ে গত বুধবার সন্ধ্যার আগে জেলা শহরের তেরী বাজারস্থ ‘নরসিংহ জিউর আখড়া’র সামনে থেকে আরাধনকে গ্রেফতার করে। পরে তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া একটি স্বর্ণের মাথার চুড়া, টিকলী, নাকের নথ, এক জোড়া দুল, একটি চুড়ি, শাখা বাঁধানোর স্বর্ণের তার, তিনটি চেইন, একটি বল চেইন, একটি মুন্ডু মালা, একটি রুপার মাথার চুড়া ও একটি খর্গ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, চুরি করার অপরাধে সে কয়েক দিন আগে জেল কেটে জামিনে বের হয়ে আবার এ চুরির ঘটনা ঘটায়। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এ কে এম মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুন, মডেল থানার ওসি মোঃ তাজুল ইসলামসহ জেলা পূঁজা উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা নির্মল কুমার দাস, সভাপতি মঙ্গল চন্দ্র সাহা, কালিবাড়ি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিটন পন্ডিত।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।