মধ্যনগর-মহিষখলা সড়কে দুর্ভোগ: সড়ক রেখেও নৌপথে চলাচল

এনামুল হক, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ): ইট বিছানো সড়কটি এমনিতেই ভাঙাচোরা। হেমন্তে যেমন তেমন বর্ষায় সড়কটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যায় প্রতি বছর। তখন সড়ক রেখেও নৌপথে চলাচল করতে হয় এলাকাবাসীর। এ বছর কয়েক দফা বন্যায় আরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সড়কটি। দুই পাশে হাওর থাকায় ঢেউয়ের তোড়ে কোথাও কোথাও সড়ক ভেঙে বিলীন হয়েছে হাওরে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সড়কের ইট। সেতু, কালভার্টের উভয় পাশ থেকে সরে গেছে মাটি। হাওরে পানি কমতে শুরু করায় স্থানীয়রা সড়ক নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন। পানি কমে গেলে বাধ্য হয়ে এ সড়ক দিয়েই চলাচল করতে হবে তাদের। তখন যানবাহন চলাচলতো দূরের কথা হেঁটে যাওয়াই মুশকিল হবে। এ চিত্র সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর-মহিষখলা সড়কের।
উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর, বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ও চামরদানি ইউনিয়নের জনগণকে এলজিইডির এ সড়ক ব্যবহার করে মধ্যনগর হয়ে উপজেলা সদরে যোগাযোগ করতে হয়। মধ্যনগর থেকে মহিষখলার দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। ওই তিনটি ইউনিয়নের জনগণ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী তাহিরপুর উপজেলার হাজারও মানুষ চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে। বর্ষায় সড়কটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়লে মহিষখলা থেকে অথবা বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের হামিদপুর চৌরাস্তা মোড় সংলগ্ন ঘাট থেকে ট্রলারে করে যাতায়াত করতে হয়। এবার কয়েক দফা বন্যায় ২০ কিলোমিটার সড়কের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জায়গা ব্যাপকভাবে ভেঙে গেছে। ফলে হাওরের পানি কমে যাওয়ার আগে সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের গোলাপপুর গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক এহসান বিন মর্ত্তুজ বলেন, ‘দ্রুত সড়কটি সংস্কার না হলে মাসখানেক পরে আমাদের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। না পারবো ট্রলারে যেতে না পারবো মোটরসাইকেলে।’
বংশীকুন্ডা উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘শুকনো মৌসুমে মহিষখলা থেকে সড়ক পথে কোনো রকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষায় সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। তখন অনেক কষ্টে কিছুটা সড়ক পথে আবার কিছুটা নৌপথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য।’
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন বলেন, ‘সড়কের বেহাল দশার কারণে মধ্যনগর থানার তিনটি ইউনিয়নের হাজারও জনগণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।’
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আরিফ উল্লাহ খান বলেন, ‘দুই পাশে হাওর থাকায় বন্যায় সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলমান রয়েছে। যে কটি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রাক্কলন প্রস্তুত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। শুকনো মৌসুমে পুরোদমে সড়ক সংস্কার কাজ চলবে।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।