নেত্রকোণায় প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সূনেত্র হাসপাতালে সিলগালা : জরিমানা আদায়

বিশেষ প্রতিনিধি : নেত্রকোণায় হাসপাতালে প্রসূতি রোগীকে ভূল চিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনায় সূনেত্র হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দিয়েছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। এসময় তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে নগদ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর শহরের ছোট বাজার এলাকায় হাসপাতালটিতে অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সিলগালা সহ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক উত্তম কুমার পাল, জেলার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আব্দুল হক মানিকসহ পুলিশ সদস্যরা।
এর আগে বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় জেলা সিভিল সার্জন ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।
গত সোমবার (১২ অক্টোবর) বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমটেøক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমানের ভাগ্নি লক্ষিগঞ্জ ইউনিয়নের আইরিন পারভীন ঝর্ণা (৩৫) নামের এক প্রসূতিকে সিজার করতে গিয়ে মূত্রথলি ও জরায়ু কেটে ফেলেন গাইনি চিকিৎসক জীবন কৃষ্ণ রায়। সেই রোগীকে সহযোগীদের হাতে ছেড়ে দিয়ে অন্য আরেকটি সিজারে চলে যান কলিং চিসিৎসক পরিচিত জীবন কৃষ্ণ রায়। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের খবরে আবারো এসে ওটি করে প্রসূতির জরায়ু ও মুত্রথলি কেটে ফেলেন তিনি। এদিকে ফুটফটে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দিয়েই প্রসূতি মা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে থাকে। পরপর তিনটি অপারেশনের পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হপাপতাপালে প্রেরণ করা হয়। ১৪ ব্যাগ রক্ত দিয়েও বাঁচানো যায়নি ঝর্ণাকে। তার স্বজনসহ পরিবারের লোকজন জানান তড়িঘড়ি করে অভিযুক্ত চিকিৎসক এমন কাজটি করেছে।
এমন অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া সাধারণ ভুক্তভোগিদের। এমনকি বন্ধ হয়ে যাওয়া ক্লিনিকের মালিকরাও বলছেন তিনি সিজার করেন আর এর দায় নিতে হয় ক্লিনিককে।
এ ব্যাপারে জেলার সিভিল সার্জন তাজুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন রকমের চাপ আসছে। তারপরও খবর পেয়ে আমরা প্রাথমিক ব্যবস্থা নিয়েছি। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমার বিষয়ে তিনি বলেন প্রচন্ড চাপ আসায় তদন্ত নিয়ে বিপাকে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।