পুলিশ সুপারের নির্দেশে হত্যার রহস্য উদঘাটন: দাদনের টাকা নিতেই হত্যা  

 স্টাফ রিপোর্টার: দাদন ব্যবসার জন্য নগদ টাকা-পয়সা সঙ্গে নিয়ে চলাফেরা করতো রুকুনুজ্জামান খান মিন্টু (৪০)। এই টাকা-পয়সার জন্যই প্রাণ দিতে হলো তাকে।  বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেত্রকোণার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী এক তথ্য জানান। নিহত মিন্টু নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায় বালিয়া গ্রামের মো. আবদুল কাদির খানের ছেলে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই গ্রামের মিজান (২৫) ও আজাহার (২১) বিষয়টি পূর্ব থেকে জানা থাকায় তারা মিন্টুর কাছ থেকে পূর্ব পরিকল্পনা করে টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা সাজায়। এ কাজে সহায়তার জন্য গাজীপুর থেকে আরও তিনজনকে খবর দিয়ে নিয়ে আসেন তারা।

মিন্টু বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় তারা পাঁচজন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থল সংলগ্ন সাত্যাটি বাঁশতল বাজারে অবস্থান করতে থাকে।

রাত আনুমানিক ২টার দিকে মিন্টু ভাড়া করা মোটরসাইকেল থেকে নেমে সাত্যাটি বাঁশঝাড় বাজার হতে পায়ে হেঁটে নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন।

পথিমধ্যে সোহেল মিয়ার বসতবাড়ির পূর্ব পার্শ্বে কালভার্টের ওপর গাজীপুর থেকে আসা তিনজনের দুজন পথরোধ করে মিন্টুর এবং আরেকজন পেছন থেকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে। পরে তারা মিন্টুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করতে থাকে।

এ সময় একই গ্রামের অপর দুজন মিজান ও আজাহার ঘটনাস্থল সংলগ্ন মসজিদের টয়লেটের পেছনে অবস্থান নেয়। মিন্টুর আর্ত-চিৎকারে আশপাশের বাড়িঘরের লোকজন আসতে থাকলে তারা সবাই পালিয়ে যায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়,জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুনসীর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ফখরুজ্জামান জুয়েল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুন তথ্য-প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে  প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাপস বণিক সন্দেহভাজন হিসেবে আজাহারকে গ্রেপ্তার করে।

আজাহার পূর্বধলার বালিয়া (বড়বাড়ি) গ্রামের মো. আবদুল হারেছ খানের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদে সে একই গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে মিজানসহ গাজীপুর হতে আসা তিন আসামির নাম স্বীকার করে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ আগস্ট রাতে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে রুকুনুজ্জামান খান মিন্টুকে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দু’দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে মিন্টু মারা যান। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা করে পূর্বধলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।