কলমাকান্দায় ঢাবি’র শিক্ষার্থীর উপর হামলা: গ্রেফতার-১

স্টাফ রির্পোটার: গরু ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে এক ঢাবি শিক্ষার্থী ও তার মাকে মারধর করে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর ঢাবির নিরাপত্তা মঞ্চের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি দেয়ার পর ঘটনাটির প্রতিবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গোলাম রব্বানী। তিনিও ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছেন বলে সামাজিক মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন। এদিকে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই গ্রামের প্রতিবেশি রাজু মিয়ার ছেলে লালচান মিয়া (২৬) কে গ্রেফতার করেছে কলমাকান্দা থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের আতকাপাড়া গ্রামে প্রতিবেশীর ক্ষেতে ধান গরু খেয়ে ফেলার অভিযোগে গরুটিকে মারধর করা হয়। এঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই গ্রামের মৃত আবু সামার মেয়ে ঢাবি’র বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী কেয়া আফরোজ কাকলী(২২) ও তার মা হোসনে আরা, ছোট বোন নাসরিন আক্তারকে মারধর ও শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এঘটনার পর আহত ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ঢাবি’র বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী কেয়া আফরোজ কাকলী জানান, “বাড়ির পাশে ক্ষেতে গরুর ধান খাওয়া নিয়ে বুধবার দেড়টার দিকে প্রতিবেশি রাজু মিয়ার ছেলে আপেল মিয়া ও লালচান মিয়া অশ্লিল ভাষায় বকাবকির শুরু করে। কেন বকছে আমি কারণ জানতে চাই। এসময় আমার উপর হামলা করে আমাকে শারীরিক ভাবে নাজেহাল করে। সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার শরীরে আঘাত করে, এসময় আমার মাথা ফেটে যায়। হামলার সময় আমাকে উদ্ধার করতে আসলে আমার মা হোসনে আরা, ছোট বোন নাসরিন আক্তারকেও মারধর ও শারীরিকভাবে হেনস্থা করে।আমি এঘটনার বিচার চাই।”


ঘটনার পর থেকে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের রাজু মিয়ার ছেলে আপেল মিয়া ও লালচান মিয়া পলাতক রয়েছে। মুঠোফোন বন্ধ থাকায় আপেল মিয়া ও লালচান মিয়ার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পোগলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, শুনেছি গরু ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝগড়া বিবাদ হয়েছে। মেয়েদের উপর হামলা করা উচিত হয়নি।
কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আল মামুন জানান, আহত শিক্ষার্থীর মাথায় গুরুত্বর আঘাত রয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে শারীরিক অবস্থা ভাল রয়েছে।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, আহত শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ভাল। ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি চলছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।