ভালুকায় সরকারী চাল আত্মসাতের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রাণী গ্রেফতার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় সরকারী ভিজিএফ এর চাল আত্মসাতের অভিযোগে  ২নং মেদুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এক দফাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মেদুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রাণী ও দফাদারের মোঃ আকবর দুইজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা,প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের ৪ হাজার তিরাশি জন উপকার ভোগীদের মধ্যে ১০ কেজি করে বিতরণের জন্য ৪০ হাজার আটশ ত্রিশ মেট্রিকটন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সেই মোতাবেক মেদুয়ারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার ভালুকা খাদ্য গুদাম থেকে তিন দিনে সমস্ত চাল উঠিয়ে নেন।দুই দিন বিতরণের পর শেষ দিনে (বুধবার) গিয়ে চাল কম পড়ে। চাল শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে বেশ সংখ্যক উপস্থিত কার্ডধারী লোক চাল না পেয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
এ বিষয়টি জানতে পেরে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামাল ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেখানে মাসুদ কামালের জিজ্ঞাসাবাদে জেসমিন নাহার কোনো সদত্তর দেননি।

পরে চালের খালি বস্তা গণনা করে দুইশ ছয় বস্তা কম পাওয়া যায়। এরপর দফাদার আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইউএনও মাসুদ কামাল। সেখানে আকবর স্বীকার করেন চেয়ারম্যান জেসমিন নাহারের নির্দেশে নরু মোহাম্মদ ওরফে নরু ডিলারের কাছে এক ট্রাক চাল হস্তান্তর করা হয়েছে।

একপর্যায়ে চাল আত্মসাতের বিষয়টি ইউএনও মাসুদ কামাল নিশ্চিত হয়ে জেসমিন নাহার ও আকবরকে পুলিশে দেন। পরে রাতেই নুর মোহাম্মদকেও আটক করে পুলিশ। দুপুরে ভালুকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগ দিয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন।তবে ইউপি চেয়ারম্যান জেসমিন নাহার রাণী বলেন, কার্ড ছাড়াও সাধারন মানুষকে চাল দেওয়ায় ৭৬ জন চাল পায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাইন উদ্দিন জানান, চাল আত্মসাতের অভিযোগে ভালুকা উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালামের দায়ের করা মামলায় ওই জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।