পরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধের দাবীতে শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোণার পূর্বধলায় শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কে পরিবহন নৈরাজ্য বন্ধে   কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার  দাবিতে শুক্রবার  বিকেলে সড়ক অবরোধ করে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নেত্রকোণা জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন প্রধান কার্যালয়ের শ্রমিক নেতারা।
পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে ট্রাক শ্রমিকদের আন্দোলনের সাথে তারা একাত্মতা পোষণ করে প্রায় চার ঘন্টা শত শত ট্রাক সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে এ কর্মসূচি পালন করে।সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্বধলা উপজেলার লাল মিয়ার বাজারের উত্তর-দক্ষিণ পাশে সড়কে প্রায় শত শত ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে।
এ বিষয়ে একাধিক ট্রাকচালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দুর্গাপুর থেকে বালি ভর্তি গাড়ি নিয়ে আসলে অতিরিক্ত চাঁদা আদায় করছে দুর্গাপুর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। ২০ টাকা রশিদে ৪০০ টাকা চাঁদা জোরপূর্বক আদায় করছে। প্রতিবাদ করলে অশালীন আচরণ করেন এবং কোন কোন সময় গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টাও করেন।
এসময় ট্রাকচালক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি প্রতিদিনই এই রোডে বালি পরিবহন করি। আমাকে অতিরিক্ত চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ট্রাক ছাড়তে দেয়না।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন প্রধান কার্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, সরকার পরিবহন খাতে সকল প্রকার চাঁদাবাজি বন্ধ করা সত্ত্বেও দুর্গাপুর বালুর ঘাটে প্রতিদিনই জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করছে। এর প্রতিবাদে আমরা শুক্রবার ট্রাকচালক-শ্রমিকগণের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। আমরা অতিরিক্ত চাঁদা আদায় বন্ধে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাই ও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করি।
বালুবাহী ট্রাক চালকদের কাছে নেত্রকোনা জেলা মটরযান কর্মচারী ইউনিয়ন নামে যে রশিদ দিয়ে টাকা আদায় করা হয় তাতে কোষাধ্যক্ষ ও আদায়কারীর কোন স্বাক্ষর নেই। তাতে টাকার পরিমাণসহ কোন তথ্যই উল্লেখ নেই।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ তাওহিদুর রহমান জানান, আমি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। চালকদের সাথে কথা বলে অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয়েছে। পরে শুক্রবার রাতে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।