নেত্রকোণায় মন্দির ভিত্তিক প্রকল্পের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: ‘মানবিক মুল্যবোধ ও নৈতিকতা সম্পন্ন জাতি গঠনে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক নেত্রকোণায় রোববার দিনব্যাপী এক ভার্চুয়্যাল কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহকারী পরিচালক মো: আকরাম হোসেনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়্যাল কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোণা-৩ আটপাড়া-কেন্দুয়া আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল।

সভায় বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান  সুব্রত পাল, সম্মানিত ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. অসিত সরকার সজল, প্রকল্প পরিচালক রনজিত কুমার দাস এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের সচিব বিষ্ণু কুমার সরকার প্রমুখ।

সভায় গত ২৫ জুন অনুষ্ঠিত কর্মশালার কর্ম অধিবেশনে গৃহীত সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক সৌরেন্দ্র নাথ সাহা। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকার, নেত্রকোনা জেলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এড. সিতাংশু বিকাশ আচার্য্যসহ বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা মনিটরিং কমিটির সদস্যবৃন্দ।

সভায় প্রধান অতিথি অসিম কুমার উকিল বলেন,উন্নত জাতি গঠনে নৈতিক শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। বর্তমান সরকার ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীতে আর্বিভূত হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ সোনার বাংলা বিনির্মাণের লক্ষ্যে সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এছাড়াও সরকার এসডিজি’র বাস্তবায়নে ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করে যাচ্ছে। এসব সাফল্য ধরে রাখতে হলে সর্বোপরি দরকার সোনার মানুষ। সোনার মানুষ ব্যতীত বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা তৈরি করা সম্ভব নয়। মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পটি সেই মানুষ তৈরির কাজটি নিরলসভাবে করে যাচ্ছে। যা বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গঠনে বলিষ্ঠভাবে ভূমিকা পালন করছে। তিনি উক্ত প্রকল্পের সম্প্রসারণে সরকারের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করার আশ্বাস ব্যক্ত করেন।

সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম নৈতিকতার বিকাশে প্রকল্পটির ভূমিকার কথা উল্লেখ্য করে বলেন বর্তমান বৈশ্বিক মহামারী’র এই সময়ে এই শিক্ষা কার্যক্রমটি তার উপযোগিতার কথা আবারও মনে করিয়ে দেয়। যেখানে সন্তান মাকে ফেলে চলে যাচ্ছে, সৎকারের অভাবে হাসপাতালে লাশ পরে থাকছে এমন সময়ে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ তৈরির প্রয়োজনীয়তা জাতি হিসেবে আমরা আরো জরুরীভাবে উপলদ্ধি করছি। তিনি কর্মশালার মাধ্যমে উঠে আসা বিভিন্ন সুপারিশ ও দাবীসমূহের যথাযথ বাস্তবায়নে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।