মদন স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে রোগীর স্বজনের উপর হামলা,আটক ৩

বিশেষ প্রতিনিধি : মদন উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে শুক্রবার রোগীর স্বজন সুমন মিয়ার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সুমন মিয়ার অবস্থা আশষ্কা জনক থাকায় জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।এ ঘটনায় জড়িত থাকায় আব্দুল গণি বেচু,বিদ্যা মিয়া ও আজিজুলকে আটক করেছে মদন থানা পুলিশ।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানায়,উপজেলার বালালী গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের আবদুল গণি বেচুকে দৌলতপুর কালিবাড়ি মোড়ে প্রতিপক্ষের লোকজন মারপিট করে। পরে আব্দুল গণি বেচু মিয়ার লোকজন ইউপি সদস্য রিয়াজ আহমেদ সোহেলের বৃদ্ধ মার হাত ও আঙ্গুল ভেঙে দেয়। এরই প্রেক্ষিতে সোহেলের খালাতো ভাই খালাকে মদন হাসপাতালে দেখতে এলে আব্দুল গণি বেচু মিয়ার ছেলে সানি, ভাই জলিল,ভাতিজা সংগ্রাম,ভাগ্নে শহর মুল্লক, মেয়ের জামাই বিদ্যা মিয়া ও আজিজুলসহ আরো ১৫/২০ জন অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার হাতের কবজি,বুকে পিটে,ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ বিদ্যা মিয়া ও আজিজুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বেচু মদন হাসপাতালে ভর্তি থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
মেডিকেল অফিসার কাজী বুশরা আমিন জানান, রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাই জরুরী ভিত্তিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীকে প্রেরণ করেছি। তার অবস্থা আশষ্কা জনক।
মদন হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ফখরুল হাসান চৌধুরী টিপুর জানান, ভর্তিকৃত রোগী বেচু মিয়ার নির্দেশেই এ ঘটনা ঘটেছে। বেচু মিয়া সুস্থ তাকে ছুটি দিয়েছি এবং পুলিশের হাতে তাকে সোপর্দ করেছি। তাদের ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য যতটুকু সহযোগিতার প্রয়োজন হবে হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ করবে। মদন হাসপাতালে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটেছে খুবই দু:খ জনক ও নিন্দনীয়।
ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান,মদন হাসপালের ভেতরের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে বেচু,আজিজুল হক ও বিদ্যা মিয়াকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।