দুর্গাপুরে ট্রাকসহ যুবক নিখোঁজ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন

দুর্গাপুর প্রতিনিধি: নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বালু ভর্তি ট্রাক সহ চালক নিখোঁজ ঘটনার চাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটনে এক প্রেস ব্রিফিং করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ। অভিযোগের তিনদিনের মধ্যেই পুলিশের এশটি টিম অভিযান চালিয়ে চাদপুর জেলার কচুয়া থানা থেকে প্রতারক মোঃ জুয়েল মিয়া(২৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থানা চত্বরে এ ঘটনার রহস্য উন্মোচন করে এ প্রেস ব্রিফিং হয়। গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারক জুয়েল মিয়া উপজেলার রোহানিকান্দা গ্রামের আব্দুল মজিতের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বিবরণে জানা গেছে, পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া গ্রামের সদরুল আলম খানের ট্রাকটি দীর্ঘদিন ধরে ভাড়ায় চালিয়ে আসছে ড্রাইভার জুয়েল মিয়া। গত ২০ মে বালু ভর্তি ট্রাক নিয়ে গাজিপুর যায় চালক জুয়েল মিয়া। এরপর থেকেই ট্রাকসহ চালক নিখোঁজ হন। চালকের মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে ট্রাক মালিক তার গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নেন। চালকের খোঁজ না পেয়ে বিপাকে পড়ে যান ট্রাক মালিক। কোন উপায়ন্ত না পেয়ে নানা জায়গায় পুলিশের দ্বারস্ত হন তিনি। এ ঘটনার দশদিন পর ২৯ মে রাত ১১টার দিকে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করনে ট্রাক মালিক সদরুল আলম। বিষয়টি আমলে নিয়ে সাধারন ডায়েরী নথিভুক্ত করে পুলিশ। ওইদিন রাতেই অভিযোগের তদন্তে নেমে পড়ে পুলিশ। দুর্গাপুর সার্কেল এর দিক-নির্দেশনায় ওসি মোঃ মিজানুর রহমানের কৌশলী ভূমিকায় পরদিন ৩০ মে চাদপুর জেলার উদেশ্যে রওনা করে পুলিশের ১২ সদস্যের তদন্ত টিম। ওই টিমের নেতৃত্বে ছিলেন ওসি(তদন্ত) মীর মাহবুবুর রহমান। ঘটঁনাস্থলে গিয়ে চিরুনী অভিযানের কয়েক ঘন্টার মাথায় প্রথমে নিখোঁজ ট্রাকটির সন্ধ্যান পান। পরবর্তীতে মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে ঐখানকার স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় প্রতারক জুয়েলকে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এ নাটকীয় ঘটনার সতত্যা শিকার করে জবানবন্দী দিয়েছে প্রতারক জুয়েল। ট্রাকের গায়ে পূর্বের লিখিত নাম ও নম্বর প্লেট মুছে ফেলা হয়। ওই যুবকে তার গ্রামের বাড়িতে স্ত্রী রয়েছে। চাদপুরের কচুয়া থানার গোহট গ্রামের ভাড়া বাসায় বিবাহ ছাড়াই পূর্বের বিয়ের এক সন্তানের জননীকে নিয়ে সংসার করছিল এ যুবক। প্রতারক জুয়ের মিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণা পূর্বক অপরাধ মূলক বিশ^াস ভঙ্গ করার অপরাধে সামবার ৪২০/৪০৬ ধারা দঃ বিঃ অনুযায়ী মামলা রুজু করে থানা পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) এস এম আশরাফুল আলম, দুর্গাপুর সার্কেল সহাকারি পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলী,ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাজী মোঃ মিজানুর রহমান,ওসি (তদন্ত) মীর মাহবুবুর রহমান,প্রেসক্লাবের সকল ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।