
এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৪৯ জনে।মোট আক্রান্তের মধ্যেও কেন্দুয়ায় সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাত ১২ টায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলায় প্রথম দুজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় গত ১০ এপ্রিল।জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে আক্রান্তের হার কেন্দুয়ায় সবচেয়ে বেশি। এরপর সদর উপজেলায়।
নেত্রকোণা সির্ভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কেন্দুয়া উপজেলায় সোমবার পর্যন্ত ৬৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। উপজেলাটিতে প্রথম আক্রান্ত হন গত ১৫ এপ্রিল দলপা ইউনিয়নের এক যুবক (২৮)। তিনি নারায়ণগঞ্জে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।ওই যুবক এখন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।
আক্রান্তের গতি প্রকৃতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ১০ মে পর্যন্ত কেন্দুয়ায় পাঁচজন আক্রান্ত ছিলেন। এরপর দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রুহুল ইসলাম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানসহ আরও ১১ জন আক্রান্ত হন। এরপর ১৬ মে ১২ জন , ২১ ও ২২ মে আটজন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১৯ জন আক্রান্ত হন।২৪ মে থেকে সোমবার পর্যন্ত নয়জন ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও ২০ জন আক্রান্ত হন। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ইউএনও এবং ওসিসহ নয়জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, আক্রান্তের হার বৃদ্ধির পেছনে শহর থেকে গ্রামে ফেরত লোকজনের ভূমিকা বেশি। আক্রান্তদের ৫৫ ভাগই নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ফেরা পোশাক শ্রমিক। বাকিরা তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি।
কেন্দুয়ায় ৬৭ জন ছাড়া অন্য উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে কলমাকান্দায় চারজন, দুর্গাপুরে আটজন, সদরে ৫৯ জন, বারহাট্টায় ১৫ জন, আটপাড়ায় ২৪ জন, মদনে ১৫ জন, মোহনগঞ্জে ২৩ জন, খালিয়াজুরিতে সাতজন, এবং পূর্বধলায় ২৭ জন রয়েছেন।
জেলা সির্ভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম জানান, ‘নেত্রকোণায় গত ২ এপ্রিল থেকে সোমবার পর্যন্ত পরীক্ষাগারে তিন হাজার ৬৯৭টি নমুনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার ৫৯৩টির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। ২৪৯ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন।মারা গেছেন দুজন।সুস্থ হয়েছেন ৭৮জন।’