আটপাড়ায় ৯ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে শতাধিক পরিবার

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঘড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবার বসবাস করছে খোলা আকাশের নিচে। মঙ্গলবার পর্যন্ত নয় দিনেও ওই সব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার পায়নি সরকারি কোনো সাহায্য-সহযোগিতা।
আটপাড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ মে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আকস্মিক ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ১০ মিনিট স্থায়ী এই ঝড়ে উপজেলার শুনই ইউনিয়নের গোয়াতলা, বরতলি, মুনসুরপুর, নারায়ণপুর, বানিয়াজান ইউনিয়নের আটিকান্দা,লুনেশ্বর ইউনিয়নের মল্লিকপুর, দেওগাঁও, পোখলগাঁও, অভয়পাশা, সীতারামপুর, পাহাড়পুর, স্বরমশিয়া ইউনিয়নের স্বরমশিয়া, রামেশ্বরপুর, রূপচন্দ্রপুরসহ অন্তত ২৫টি গ্রামের তিন শতাধিক কাঁচা ও আধাপাকা ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় অনেক গাছপালা উপড়ে ও ভেঙে পড়ে। বিভিন্ন সড়কে এখনো গাছ পড়ে আছে। এতে করে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই সব গ্রামের শতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারি তেমন কোনো সহযোগিতা পৌঁছেনি। পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে ও অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ পরিবারের সদস্যরা মানবেতর জীবনযাপন করছে।
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামীলীগকর্মী ও সাবেক ছাত্রনেতা আটপাড়ার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর লিটন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। নয় দিন পার হলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সরকারি সাহায্য পায়নি।
আটপাড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নিজাম ইয়ার খান বলেন, ‘ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সাধারণ মানুষের। তাদের ব্যাপারে সরকারি কোনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের পাশে আমাদের দাঁড়ানো উচিত।’
আটপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ওপর দিয়ে দুই দফা ঝড় বয়ে যায়। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখনো সরকারি কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় পাঠানো হয়েছে।
আটপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা সুলতানা বলেন, ‘ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অনেক ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য করার জন্য তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার পর তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।