নিজ গ্রামের অসহায়দের ঈদ উপহার দিলেন লায়ন মিজান

বিশেষ প্রতিনিধি: ঝড়ের রাতে সুনামগঞ্জ থেকে নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার নিজ গ্রাম সাহতায় ছুুটে আসেন লায়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান। উদ্দেশ্য গ্রামের অসহায়, দুস্থ ও হতদরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে ঈদ উপহার হিসাবে সামান্যতম আর্থিক সহায়তা পৌছে দেয়া।

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নিজগ্রামের দুস্থ পরিবারগুলোর সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতেই তাঁর এ প্রয়াস।

হাওরাঞ্চলের অবকাঠামো ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প (হিলিপ) নামে একটি সংস্থার সুনামগঞ্জ জেলার প্রকল্প সমন্বয়কারী হিসাবে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন লায়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান। বারহাট্টা উপজেলার সাহতা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারে জন্ম নেয়া লায়ন মিজান ইতিহাস বিষয়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

পড়াশোনা শেষে চাকরি নিয়ে তিনি বেশির ভাগ সময় নিজগ্রামের বাইরে অবস্থান করলেও এলাকার অসহায় মানুষের জন্য সব সময়ই তাঁর প্রাণ কাঁদে। তাই তিনি ঈদসহ বিভিন্ন দুর্যোগে ছুটে এসে এলাকার দুস্থ ও হতদরিদ্র লোকজনের পাশে দাঁড়ান।

এরই ধারাবাহিকতায় এই করোনা দুর্যোগের সময়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গ্রামের অসহায় ওইসব মানুষের কথা চিন্তা করে বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বয়ে যাওয়া ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে সুনামগঞ্জ থেকে নেত্রকোনার গ্রামেরবাড়িতে ছুটে আসেন তিনি।

এদিকে ওই রাতেই গ্রামের বাড়িতে পৌছে গ্রামের দুস্থ ও হতদরিদ্র পরিবারগুলোর খোঁজ-খবর নেন লায়ন মিজান।

পরে শুক্রবার (২২ মে) বিকালে নিজবাড়িতে গ্রামটির অর্ধশতাধিক দুস্থ ও অসহায় পরিবারের সদস্যদের হাতে ঈদ উপহার হিসাবে নগদ আর্থিক সহায়তা তুলে দেন।

এ সময় লায়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খানের বড় ভাই সাহতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা মোখলেছুর রহমান খান সুজাত, মামাতো ভাই সাহতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমীর আজম খান চন্দনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ঈদের আগে ঈদ উপহার হিসাবে লায়ন মিজানের দেয়া আর্থিক সহায়তা পেয়ে দারুণ খুশি ওইসব অসহায় পরিবারের লোকজন।

এ বিষয়ে লায়ন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শুধুমাত্র গ্রামের অসহায় মানুষের কাছে ঈদ উপহার হিসাবে আমার সামান্য আর্থিক সহায়তা পৌছে দিতেই আমি বৃহস্পতিবার ঝড়ের রাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামে ছুটে এসেছি। মানুষের উপকারেই যদি না আসতে পারলাম, তাহলে সে জীবনেরই বা মূল্য কি। তবে গ্রামের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

সাহতা গ্রামের সৃজনশীল ব্যক্তি সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মোস্তাফিজুর রহমান মৌলা ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম হিরণ তাঁকে এ কাজে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার জন্য চাকরির দায়বদ্ধতায় আমাকে আজকে আবার সুনামগঞ্জ যেতে হবে।

 

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।