বিশেষ প্রতিনিধি: গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোণায় নতুন করে আরো ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ১২ জনই কেন্দুয়ায়। আর তিনজন দুর্গাপুরে মদনে একজন ও খালিয়াজুরীতে একজন। এই সতেরো জন নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১শ তেরো জনে।
নেত্রকোণা সির্ভিল সার্জনের কাযালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ১০ এপ্রিল। শনিবার রাত পর্যন্ত এক মাস ছয় দিনের ব্যবধানে জেলায় শনাক্ত হয়েছেন ১শ তেরো জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোহনগঞ্জে একজন পুরুষ (৫৬) ও মদনে একজন নারী (৬০)।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে ১শ তেরোজন। মোট ২১২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৭৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে জেলায় ১১১ জনের কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। ৩৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা এখনো বাকি রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭ জন সুস্থ হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষায় ওই লোকজনের শরীরে কোভিড-১৯ ধরা পড়ে।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, কেন্দুয়ায় গত পাঁচদিন ধরে করোনা রোগী বাড়ছে। ওই উপজেলায় গত সোমবার ছয়জন আক্রান্ত হন। এর দুদিন পর মাসকা ইউনিয়নের আরো এক যুবক (২৭) আক্রান্ত হন। শনিবার আরো ১২ জন পুরুষ আক্রান্ত হন। এ নিয়ে উপজেলাটিতে মোট আক্রান্ত ২৪ জন দাঁড়ালো।
সূত্র বলছে, জেলায় আক্রান্তের হার বৃদ্ধির পেছনে গ্রামে ফেরত লোকজনের ভূমিকা বেশি। আক্রান্তদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আক্রান্তদের ৬০ ভাগই নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ফেরা পোশাক শ্রমিক। বাকিরা তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি।
জেলা সির্ভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম বলেন, নেত্রকোণায় শনিবার সতেরো জনের করেনা সনাক্ত হয়েছে। জেলায় এক দিনে এটিই সবচেয়ে বেশি সনাক্তের সংখ্যা। তিনি জানান, জেলায় এ পযন্ত ১শ তেরো জনের শরীরে কোভিড-১৯ সনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অবশ্য ৩৮ জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। আর দুজন মারা গেছেন।’