বারহাট্টায় গৃহকর্মীকে খুনের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কাঞ্চন আটক

স্টাফ রিপোর্টার: নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে গৃহকর্মীকে খুনের মামলায় বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা  আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহ মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চনকে (৬৮) আটক করা হয়েছে।
সোমবার রাতে মোহনগঞ্জ পৌর শহরের দৌলতপুর এলাকার বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাকে আটক করে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ মোর্শেদের মোহনগঞ্জ পৌর শহরের দৌলতপুর এলাকার বাসায় গৃহ পরিচারিকা মারুফার (১৪) অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। মারুফা বারহাট্টার সিংধা ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত আলী আকবরের মেয়ে।
নিহত গৃহকর্মী মারুফা আক্তারের মা আকলিমা আক্তার জানান, “আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।এর আগেও চেয়ারম্যান আমার মেয়ের সাথে খারাপ আচরণ করেছে। বিষয়টি চেয়ারম্যানের স্ত্রীকে জানানো হয়েছে। মারুফার শরীরের আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমি ধর্ষণের আলামত দেখেছি। আমি গরিব মানুষ,নিজেও ঢাকায় মানুষের বাসায় কাজ করি ।  আমি এর বিচার চাই।”
সূত্র জানায়, মোহগঞ্জের ওই বাসায় চেয়ারম্যান ও গৃহকর্মী মারুফা বেশির ভাগ বসবাস করতেন। এ দিকে, পুলিশ ওই দিন মারুফার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মারুফার মা আকলিমা সোমবার সন্ধ্যায় বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চেয়ারম্যানকে আটক করে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ খানের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেনি।
তবে মোহনগঞ্জ থানার উপসহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাদিউল ইসলাম জানান, গৃহকর্মী মারুফা খুনের ঘটনায় চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল বলেন, ‘ গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলছি না।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।