নেত্রকোণায় ইউএনও,ওসিসহ আরো ১১ করোনা শনাক্ত

স্টাফ রির্পোটার: নেত্রকোণায় সোমবার নতুন করে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসিসহ আরো এগারো জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট ৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে পূর্বধলায় তিন চিকিৎসক, খালিয়াজুরীতে ১ চিকিৎসক আটপাড়ায় এক সদরে এক চিকিৎসকসহ মোট ছয় চিকিৎসক, তিন জন নার্স ও নয়জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত হয়েছে সাতাশি জন। মোট ১৭৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৩৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে জেলায় ৮৬ জনের কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। ৩৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা এখনো বাকি রয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২৭ জন সুস্থ হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষায় ওই লোকজনের শরীরে কোভিড-১৯ ধরা পড়ে।
মোট আক্রান্ত ছিয়াশি জনের মধ্যে ৫৩ জনই পোশাককর্মী। বাকিদের মধ্যে  ছয় জন চিকিৎসক, একজন ইউএনও ছাড়াও ৯ স্বাস্থ্যকর্মী, হাসপাতালের ঝাড়ুদার, একজন এনজিওকর্মী, দুজন রাজমিস্ত্রির সহযোগী, দুজন কৃষক ও একজন শিশু রয়েছে।
জেলা সির্ভল সার্জনের কাযালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ এপ্রিল জেলায় প্রথম দুজনের শরীরে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে একজন খালিয়াজুরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স (২৮)। অপরজন সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা (৫০)। হাসপাতালের ওই নার্স তার নিজ নিজ বাড়ি গাজীপুরের কোনাবাড়িতে ছুটি কাটিয়ে ৬ এপ্রিল কর্মস্থলে যোগদান করে তিন দিন ডিউটি করেন। এরপর তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। আর লক্ষ্মীপুরের ওই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। সেখান থেকে গত ৯ এপ্রিল সর্দি-জ্বরসহ করোনার লক্ষণ নিয়ে তিনি নিজ বাড়িতে আসেন। এরপর তার পাঁচ বছরের শিশু কন্যাটিও আক্রান্ত হয়। অবশ্য ওই ব্যক্তি দীর্ঘ দিন নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকার পর তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যান।
এ দিকে, ১১ মে শনিবার বুধবার পর্যন্ত জেলায় মোট ৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্তদের সবচেয়ে বেশি নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে আগত। বাকিদের মধ্যে নরসিংদী, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলা রয়েছে। জেলায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্ষে আসা ব্যক্তির সংখ্যা মোট ১৮২ জন এবং জেলায় মোট চিহ্নিত স্পট ২৫ টি।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর মেশিনে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলা ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, জামালপুর ও শেরপুরের পাশাপাশি সুনামগঞ্জের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ মেশিনে প্রতিদিন দুইবারে গড়ে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়। কিন্তু পাঁচটি জেলা থেকে প্রতিদিন নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে আরও অনেক বেশি।
নেত্রকোণার সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম খান জানান, এ পর্যন্ত জেলার ১৭৩০টি নমুনার মধ্যে সোমবার পর্যন্ত ১৩৪৩ টির প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বাকি ৩৮৭ টি নমুনার প্রতিবেদন এখনো পাইনি। এ কারণে রোগী শনাক্তকরণে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি জানান, জেলায় একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।