একটি বাঁশের জন্য ৩০ পরিবার অন্ধকারে

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার ফকিরের বাজারের রামপুর গ্রামে একটি বাঁশ বাঁচাতে ত্রিশ পরিবারকে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়রা জানায়, গত ৯ মে সকাল সাতটায় এক বিকট শব্দে আতংক ছড়িয়ে যায় পুরো মহল্লায়। দিক-বিদিক ছুটতে থাকে নারী-শিশুসহ আশ পাশের বাসিন্দারা। পরক্ষণই শব্দের উৎস সন্ধানে দেখা যায়, রায়পুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের হাসিম উদ্দিনের বাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্যে সাম্প্রতিক জাগানো ভিটের এক কোণের বাঁশ ঝাড় থেকে একটি বাঁশ বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুলে পরে। এসময় ট্রান্সফরমার ঢলে পড়লে সেখান থেকে এই বিকট শব্দ ও অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হয়। আর সে সময় খুঁটিতে লাগানা বৈদ্যুতিক তারগুলো ছিড়ে পরে যায়।

ঘটনার খবর পেয়ে ফকিরের বাজার বিদ্যুত অভিযোগ কেন্দ্রের লোকজন সেখানে গেলে তারা দূ্র্ঘটনার একটু পরে প্রায় ৩০ পরিবারের ব্যবেহার করে মতো লাইনের সংযোগ বিচ্ছন্নি করে অন্যান্য এলাকার বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করে। আর দুর্ঘনাস্থলের বাঁশটি কেটে দিলে এই লাইনটি দুপুরের পর এস মেরামত ও পুণসংযোগ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে চলে যান।
স্থানীয় মহল্লাবাসী ঐ বাঁশটি কাটতে গেলে ভিটের মালিক হাসিম উদ্দিন প্রতিবাদ করে ওই বাঁশ কাটতে দিবে না বলে ভিতেটে প্রবেশ পথ আগলে রাখে। তিনি জানান, আজ এই বাঁশ কাটতে দিলে দুদিন পর আবার আরেকটি বাশঁ সেখানে ঢলে পরলে সেটিও কাটতে আসবেন। তার চেয়ে এই লাইন এখান থেকে সরিয়ে অন্য দিকে দিয়ে নিন। মহল্লার সর্বস্তরের মানুষ অনেক অনুুুরোধ করলেও সে কিছুতেই সম্মত হয়নি। দুপুরের পর বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন এসে বাঁশটি কাটতে চাইলে ভিটারর মালিক তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। যার কারণে তারা সেখান থেকে চলে যান। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানো হলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলেছেন।
স্থায়ীর মহল্লা বাসীর সাথে কথা বললে তারা পবিত্র রমজান মাসে ইফতার ও সাহরী সহ তারাবীতে নিজেদের অবর্ণনীয় কস্টের কথা জানান।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।