ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ চিকিৎসক ৯ নার্স ও ৩৩ আয়া করোনার শনাক্ত

স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহ বিভাগের তিন জেলায় নতুন করে ১১ চিকিৎসকসহ ৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ চিকিৎসক ও ৯ নার্স-আয়া এবং মুক্তাগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক চিকিৎসকসহ ময়মনসিংহ জেলায় ২২ জন, জামালপুর সদর হাসপাতালের দুইজন চিকিৎসকসহ ৭ জন, নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসকসহ ৪ জন রয়েছে। এনিয়ে ময়মনসিংহ জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ জনে।
এদিকে মচিমহা’য় চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের করোনা পজিটিভ হওয়ায় পুরো হাসপাতালজুড়ে কর্মরত, ভর্তিকৃত রোগী ও স্বজনদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. এবিএম মসিউল আলম জানান, শেরপুর জেলার নকলা থেকে করোনায় আক্রান্ত এক অন্ত:সত্ত্বা নারী তথ্য গোপন করে মচিমহা’য় ভর্তি হয় চার দিন আগে। তার চিকিৎসা দিতে গিয়ে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিস, গাইনী বিভাগ, ডায়ালাইসিস বিভাগ ও আইসিইউতে কর্মরতদের মাধ্যমে ছড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে ওই নারী এসকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ময়মনসিংহ হাসপাতালের উপ-পরিচালক লক্ষী নারায়ণ মজুমদার জানান, অন্ত:সত্ত্বা ওই নারী তথ্য গোপন করে ভর্তি হওয়ায় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে যারা চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন, তারা সকলেই আতঙ্কে রয়েছে। সকলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং তাদের কোয়ারিন্টাইনে রাখা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, একদিনে হাসপাতালের ৬ চিকিৎসক ও ৯ জন নার্স-আয়ার করোনা পজিটিভ হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসক স্বল্পতা দেখা দিবে।
এনিয়ে ময়মনসিংহ জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ জনে। এরমধ্যে সদরে-২৯, গফরগাঁয়ে-১২, ঈশ্বরগঞ্জে-৬, মুক্তাগাছায়-৫, ফুলপুর-৩, হালুয়াঘাট-২, নান্দাইলে-২, ভালুকা, ফুলবাড়ীয়া ও ত্রিশালে একজন করে রয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফুলপুর ও ত্রিশালে মারা গেছে দুইজন।
এছাড়া জামালপুর জেলায় ৩৫ জন, নেত্রকোণা জেলায় ৩৩ জন এবং শেরপুর জেলায় ২৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।