নেত্রকোণায় আট পোশাককর্মী করোনায় আক্রান্ত : মোট শনাক্ত তেরো

 স্টাফ রির্পোটার: নেত্রকোণায় আরো ছয় পোশাককর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে মোট এগারো জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নয়জন পোশাককর্মী, একজন করে নার্স ও এনজিওকর্মী রয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষায় ওই পোশাককর্মীদের শরীরে কোভিড-১৯ ধরা পড়ে।
নতুন আক্রান্ত রোগীদের বাড়ি বারহাট্টা উপজেলার দেওপুর গ্রামে পাঁচ জন, রিতু আক্তার (২৫),উষা আক্তার (৩৬),বৃষ্টি আক্তার (১৮) জুলহাস মিয়া (৩০), শহিদ মিয়া (৪৮) ও চাঁনপুর গ্রামের রুপসী আক্তার (২০) এবং একই উপজেলার সাহতা গ্রামের একজন (৮৫)। অন্যদিকে খালিয়াজুরীর জগন্নাথপুর গ্রামের আরো একজন করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই নারায়ণগঞ্জের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গত তিন দিন আগে তিনি কর্মস্থল থেকে নিজ বাড়িতে আসেন। এরপর থেকে তার জ্বর, সর্দি, গলা ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে গতকাল সোমবার চিকিৎকরা তার নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষায় পাঠায়। ওই পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
এ দিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়ার পর পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাসপাড়া গ্রামটি লকডাউন করে দেওয়া হয়। অবশ্য সোমবার দুপুর থেকেই জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম পুরো জেলাকেই লকডাউন ঘোষণা করেন।
জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম বলেন, ‘নেত্রকোণায় নতুন করে আরো আট জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট তেরো জন করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্তদের মধ্যে খালিয়াজুরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই সিনিয়র স্টাফ নার্স (২৮) ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে এবং সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের ওই ব্যক্তি (৫০) নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বাকিরা নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। তাদেরকে হাসপাতালে আইসোলেশন কক্ষে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।