গভীর রাতে ফোন পেয়েই বাড়িতে গিয়ে বাজার পৌঁছে দিলেন ওসি

স্টাফ রিপোর্টার : বাসায় যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান। তখনই একটা নাম্বার থেকে একটি ফোন আসে। ওপাশ থেকে স্যার সম্বোধন করে কথা বলছিলেন মধ্যবয়সী এক নারী।জানাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যদের না খেয়ে থাকার কথা। সংসারে টাকা রোজগার করার মত কেউ নেই। স্বামী দীর্ঘদিন ধরে বিছানা থেকে উঠতে পারেনা। তিনটি শিশু বাচ্চা আর অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে গত ক’দিন ধরে না খেয়ে থাকার কথা জানালেন তিনি। কাজকর্ম বা সাহায্য চাইতেও বের হতে পারছেন না এই পরিস্থিতিতে।

বারহাট্টা উপজেলার বাউসী ইউনিয়নের বাউসী গ্রামের ওই নারীর বসবাস। পুরো কথা শুনে ঠিকানা নিয়ে রাতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে নারীর বাড়িতে হাজির হলেন ওসি মিজানুর রহমান। প্রয়োজনীয় বাজার দেখে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলেন অসহায় নারী। বাচ্চারাও ক্ষুধায় পারছিলো না ঘুমাতে। বাজার দেখে প্রত্যেকের চোখেমুখে যেন আনন্দ ধরে রাখতে পারছিলো না কেউ। করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশের এই ছুটে চলা, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানবিক ইতিহাস সত্যিই আজীবন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে মনে করেন অনেকেই। অতীতের সবকিছু ঝেড়ে ফেলে মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার যেন বছরের শুরুতেই বাস্তবায়ন করতে সফল হবে পুলিশ।

বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, ফোনে কথা বলে কন্ঠ শুনেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন সত্যিকার অর্থে অভুক্ত আর কষ্টে আছেন ওই নারী। বাড়ি খুঁজে বের করে বাজার নিয়ে গিয়েও দেখা গেলো তাদের মানবেতর জীবনযাপন। কথা বলে জানা যায় একসময় অবস্থা ভালো থাকলেও আজ বড় বেশি অসহায় এই পরিবার। যার যার জায়গা থেকে প্রত্যেকের সামাজিক অবস্থান আছে। সেসব বিষয় মাথায় নিয়ে নারী বা পরিবারের কারো নাম-পরিচয় প্রকাশ না করতে দাবি জানান ওসি মিজানুর রহমান।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।