প্রতিবন্ধী আতিককে নিজের ইউনিয়নেই বদলী

দেলোয়ার হোসেন,ময়মনসিংহঃ প্রতিবন্ধী ছোট আতিককে নিজের ইউনিয়নে বদলী করলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। মঙ্গলবার বিকেলে আতিকের বদলী দাপ্তরিক আদেশ তার হাতে তুলে দেন ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং মাষ্টার্সে ১ম বিভাগে উত্তীর্ন হন । স্নাতকোত্তর শেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উপজেলায় মেধা তালিকায় ২৭ তম স্থান অধিকার করে আতিক।

যোগদানের পর আবেদনে বাড়ির কাছাকাছি পছন্দের দুটি বিদ্যালয় নাম উল্লেখ করে সে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ওই শারীরিক প্রতিবন্ধী আতিককে তার বাড়ি থেকে ৩০ কিলোমিটার দুরে বালিপাড়ায় কর্মস্থল ঘোষনা করে দেয়া হয় নিয়োগপত্র।কিন্তু তার সেখানে যোগদান সম্ভব হয়নি।

সে নিজে একা একা পথ চলতে যেখানে কষ্টসাধ্য সেখানে চারবার গাড়ি বদল করে সে কর্মস্থলে কিভাবে পৌছবে। আতিককে ফোন করে সমবেদনা জানিয়ে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা আশ্বাষ দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।

এসময় ইউএনও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে কথা বললে প্রতিবন্ধী ছোট আতিককে মঙ্গলবার তার গ্রামের বাড়ি ধানীখোলা ইউনিয়নের উজানদাস পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলীর আদেশ প্রদান করেন। বিকেলে বদলীর আদেশটি আতিকের হাতে তুলে দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নুর মোহাম্মদ।উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রামের কাটাখালি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারি শিক্ষক আবদুল খালেকের ছেলে জন্ম থেকে শারিরিক প্রতিবন্ধী আতিক। দশ ভাই বোনের মধ্যে আতিক ছিলেন জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধী।

ছোট থেকে সমাজের আর অন্য দশ জনের মত বেড়ে উঠতে পারেনি সে। অনেকেই তাকে ছোট একটা ব্যবসা দিয়ে গ্রামে বসিয়ে দিতে বললেও আতিকের আগ্রহে স্কুল শিক্ষক বাবা তাকে কাধে করে স্কুলে নিয়ে

উপজেলা চেয়ারম্যান মতিন সরকার বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয় আমরা সবাই যেন তাদের পাশে দাড়াই। তাদের মেধা বিকাশে আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে একদিন তারা সফল হবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।