নদীয়ার কৃষ্ণনগরে শিশুদের নেতৃত্বে ‘ঐতিহ্য’ সংগঠনের বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব

বাবুল সাহা, কলকাতা থেকে : ‘ঐতিহ্য’সংগঠনের আয়োজনে ‘ছোট্র মোদের পানসি তরী’ নদীয়ার কৃষ্ণনগরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে লালন করে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনটি। ১লা মার্চ নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে দ্বিজেন্দ্র মঞ্চে বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এই সংগঠনের জন্ম হয়েছিল প্রায় দেড়দশক পূর্বে শিক্ষক শম্ভুনাথ বিশ্বাসের হাত ধরে। তারই কন্যা শিক্ষয়িত্রী নিবেদিতা বিশ্বাস আত্মবিশ্বাসের সাথেই তার পিতার সৃষ্ট এই সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংস্থাকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে ‘ঐতিহ্যকে’ বহন করে চলেছেন।
শিক্ষয়িত্রী নিবেদিতা বিশ্বাস জানান, এবারের ঐতিহ্যের থিম ছিল শিশুকেন্দ্রিক। এবারের অনুষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছিল ‘‘ছোট্রমোদের পানসি তরী’’। তিনজন শিশুশিল্পী অন্বেষা, অঙ্কিতা ও শ্রেয়সী ছিল সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে।
শিশু নেত্রত্বাধীন সমগ্র অনুষ্ঠানটি ছিল মনোমৃগ্ধকর। রবীন্দ্রনাথের হাস্যকৌতুক ,‘পেঠে ও পিঠে’ অত্যন্ত নিপুণতার সাথেই উপস্থাপিত হয়েছে। এ ছাড়াও ‘ছন্দ ভূমি’ ‘ছন্দ ঘরের’ শিল্পীরা মুগ্ধ করেছেন তাদের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকলকে। অনুষ্ঠানটি সামগ্রিক সফল করে তুলতে যাদের সার্বিক সহযোগিতা ছিল তারা হলো সঞ্চিতা পাল চৌধুরী, দেবারতী দাস, নিবেদিতা বিশ্বাস, অগ্রজসম যতীশ চৌনী, সংগঠনের প্রতিষ্টাতা সভাপতি শীম্ভূনাথ বিশ্বাস। শিশুশিল্পী শুভ্রজ্যোতি হালদার, আহেরী রায়, অহিত্রী মৌলিক, অর্চিতা মৌলিক, পরম সরকার, হৃত্বিশা মৈত্র । সকলের প্রচেষ্টায় অনুষ্ঠানটি সার্থক ও সুন্দর হয়েছে। ভবিষ্যতে শিশুরা এরকম অনুষ্ঠান করার অনুপ্রেরনা পাবে বলে আশাবাদী।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।