নেত্রকোণায় মগড়া থেকে উচ্ছেদ হওয়া ২০ পরিবার পেল খাস জমি

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় মগড়া নদী দূষণ ও দখল মুক্ত করতে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযানে গৃহহীন হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের কৃষি ও খাসজমি বন্দোবস্ত করে দিচ্ছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে গৃহহীন ২২ টি পরিবারের মাঝে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদর ভূমি অফিস ৪৩ শতাংশ ভূমি বন্দোবস্ত করেন। শনিবার দুপুরের জেলা শহরের উপকন্ঠ সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়ন তেলিগাতী এলাকা থেকে ওই ভূমি বন্দোবস্ত করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার(ভূমি) বুলবুল আহমেদ সার্ভেয়ার ও সহকর্মীদের নিয়ে ভূমি মেপে গৃহহীনদের মধ্যে সরকারী খাস এই ভূমি বন্টন করেন।
বিনামূল্যের ভূমি পাওয়া ব্যক্তিদেরই একজন দু’পা বিহীন শহরে ভিক্ষাবৃত্তি করা শারীরিক প্রতিবন্ধী তোফাজ্জল (৫০) জানান, নদী উদ্ধারে গৃহ উচ্ছেদ হওয়ার পর সড়কসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিসের বারান্দায় রাত কাটাতে হচ্ছে। তীব্রশীত আর মশার কামড়ে হচ্ছে বর্ণনাতীত কষ্ট। দু’টি পা নেই। ভূমি পেয়ে তিনি আরও জানান, আমার মতো অসহায় মানুষ এখন নিশ্চিন্তে বাস করতে পারবো।
এছাড়াও ভূমি পেয়েছেন স্বামী পরিত্যক্তা রাজিয়া ও রেহানা বেগম,নির্যাতনের শিকার এসিড দগ্ধ নারী হোসনে আরা। তারা জানান, গরীববান্ধব এমন সরকার তারা বারবার নির্বাচিত করতে চান নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। ভূমি পেয়ে তারা স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের সমৃদ্ধি কামনা করেন। নেত্রকোনা সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বুলবুল আহমেদ জানান, নদী উদ্ধার করতে গিয়ে প্রভাবশালীদের পাশাপাশি সহায় সম্বলহীন ৫৫ টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। যাদের মাথাগোঁজার একমাত্র ঠাঁই ছিলো বসবাসকৃত সরকারি ভূমি বা নদী। পরবর্তীতে গৃহহীনদের কষ্টের দিক বিবেচনায় করে তাদের আবাসভূমি করে দিতে ভূমি অফিসের মতামতের ভিত্তিতে উদ্যোগী হন জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম। তারই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক পর্যায়ে ২২ টি পরিবারকে কৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত করে দেয়া হয়। সরকারের খাস জমি খোঁজে বের করে পর্যায়ক্রমে বাকি ৩৫ টি পরিবারকেও বন্দোবস্ত করে দেয়া সম্ভব হবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।