বারহাট্টায় আশি কোটি টাকা ব্যয়ে কংসের ভাঙন এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হবে-পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণা জেলার হাওরের ডুবন্ত বাঁধ রক্ষা কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। শুক্রবার রাত আটটার দিকে নেত্রকোনার সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভার পূর্বে সাংবাদিকদের সাথে ফসল রক্ষা বাঁধ ও বারহাট্টা উপজেলার কংশ নদীর ভাঙন নিয়ে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
এসময় প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “হাওরের বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের নামে প্রতিবছরই টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সময়মতো হাওরের পানি না নামায় এবছর কিছুটা দেরীতে কাজ শুরু হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে। তিনি বলেন, স্থানীয় কৃষকদের সম্পৃক্ত করে পিআইসিগুলো গঠন করে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। পিআইসির কমিটিতে এখন ইউএনও, স্থানীয় জমিদাতা লোক রেখে সমন্বয় করে কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া বারহাট্টার কর্ণপুর –চরপাড়া এলাকায় কংস নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রায় আশি কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান”
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়া আহমেদ সুমন ও অতিরিক্ত পুলিশ (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়া। পরে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের সরকারী কর্মকর্তাদের নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বিষয়ক রুদ্ধদার বৈঠক করেন তিনি।
এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি শুক্রবার বিকেলে মন্ত্রী কর্ণপুর-চরপাড়া কংস নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, “আমি নির্বাচনের সময় কথা দিয়েছিলাম নির্বাচিত হলে স্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা করে দেব। আমি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে এসেছি। তিনি কথা দিয়েছেন আপনাদের নদী ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা করে দেবেন। তিনি দেখে গিয়ে দ্রত ব্যবস্থা করবেন।”
এর আগে নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীর আয়োজনে শুক্রবার বিকেলে মন্ত্রী কর্ণপুর-চরপাড়া কংস নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয়দের বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কর্ণপুর,চরপাড়া,পাঁচপাই এলাকায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকার স্থায়ী বাঁধের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী বর্ষার আগেই ওই এলাকায় কংসের তীরে স্থায়ী বাঁদের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কংস নদীর ভাঙনে বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কর্ণপুরের দুই কিলোমিটার অংশের ছয় শতাধিক পরিবার, চরপাড়ার দেড়শাধিক, পাঁচপাই, বাঘরুয়া ও জাহাঙ্গিরপুরের তিন শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে।কাবাসীর আয়োজনে শুক্রবার বিকেলে মন্ত্রী কর্ণপুর-চরপাড়া কংস নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয়দের বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কর্ণপুর,চরপাড়া,পাঁচপাই এলাকায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকার স্থায়ী বাঁধের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী বর্ষার আগেই ওই এলাকায় কংসের তীরে স্থায়ী বাঁদের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কংস নদীর ভাঙনে বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কর্ণপুরের দুই কিলোমিটার অংশের ছয় শতাধিক পরিবার, চরপাড়ার দেড়শাধিক, পাঁচপাই, বাঘরুয়া ও জাহাঙ্গিরপুরের তিন শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।