মোহনগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পরপরই অভিযুক্ত সারোয়ার হোসেনকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার সকাল ১১টার দিকে মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়তলী গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্ত সারোয়ার উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের বড়তলী গ্রামের আল্লাদ মিয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সারোয়ার গত শুক্রবার রাত আটটার দিকে একই গ্রামের ওই স্কুলছাত্রীটিকে বাড়ির পেছন থেকে মুখ বেঁধে পাশের একটি পতিত জমিতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় ওই ছাত্রীটির মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত সারোয়ারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মোহনগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ ও মেয়েটির পারিবারিক সূত্রে আরো জানা গেছে, শুক্রবার রাত আটটার দিকে মেয়েটি নিজ বসত ঘরের পেছনের টয়লেটে যায়। পরে সেখান থেকে সে ঘরে ফেরার পথে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একই গ্রামের আল্লাদ মিয়ার বখাটে ছেলে সারোয়ার হোসেন মেয়েটিকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে পাশের একটি পতিত জমিতে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি তার পরিবারের কাউকে জানালে তাকেসহ তার মা-বাবাকে মেরে ফেলবে বলেও মেয়েটিকে হুমকি দিয়ে সেখান থেকে সটকে পড়ে অভিযুক্ত সারোয়ার।
এ অবস্থায় মেয়েটি সারোয়ারের হুমকির ভয়ে বিষয়টি পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ঘরে শুয়ে কাঁদতে থাকে। মেয়েটির কান্না শুনে তার পরিবারের লোকজনের মনে সন্দেহ দেখা দেয়। এবং তার মা বার বার তাকে জিজ্ঞাসা করলে এক পর্যায়ে শনিবার সন্ধ্যায় মেয়েটি তার মায়ের কাছে সবকিছু খুলে বলে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবদুল মোতালেব এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলা দায়েরের পর রবিবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে ওইদিন দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ডাক্তারি পরীক্ষা এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য ভিকটিমকে রোববার বিকেলে নেত্রকোনা পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে রোববার বিকেলে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী মোহনগঞ্জ পরিদর্শন করেছেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।