নেত্রকোণায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে: অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বাড়ছে। বিশেষ করে বুধবার বিকেল থেকে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় শীতের প্রকোপ অসহনীয় হয়ে উঠছে। শীত বাড়ায় গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন শীর্তাতরা। তারা বেশি ভিড় করছেন ফুটপাতের পুরোনো কাপড়ের দোকানে। গ্রামের মানুষরা খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ শীতের পিঠা খেতে দোকানে ভীড় জমাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বুধবার বিকেল থেকে নেত্রকেনায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। অনেকেই গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। বিশেষ করে পুরাতন কাপড়ের দোকানে গিয়ে নিজেদের সাধ্যমত শীতের কাপড় কিনছেন শীতার্তরা। কন কনে বাতাসে ১০টি উপজেলার দরিদ্র মানুষরা শীতে বেশি ভুগছেন। বৃহষ্পতিবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের তেমন দেখা মেলেনি। কনকনে ঠান্ডা বাতাস হাড় কাঁপানো শীতের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শহরে লোক চলাচল অনেক কমে গেছে। কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী কচুগড়া গ্রামের মিল্টন মারাক বলেন, ‘সপ্তাহখানেক ধরেই এখানকার মানুষ শীত অনুভব করছেন। তবে গত বুধবার থেকে হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ আদিবাসী। অনেক পরিবার দরিদ্র হওয়ায় শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড় ক্রয় করতে পারেন না । সরকারিভাবেও কম্বল বা কোন শীতবস্ত্র দেওয়া হচ্ছে না। তাদের জন্য শীতবস্ত্র খুবই প্রয়োজন।’
হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরি গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাঁড়কাপানো শীতে এখানকার মানুষ কষ্ট করছেন। অনেকেই খড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এ ভাবে শীত বাড়তে থাকলে জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে যাবে। এখন বোর মৌসুমের সময় শীত বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা বীজতলা প্রস্তুত ও জমি চাষবাদ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।’
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডাজনিত নানা রোগ বাড়ছে। কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল আল মামুন জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডাজনিত কিছু সমস্যায় শিশুসহ অনেকই হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিচ্ছে।’
জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম বলেন, গত দু’দিন ধরে শীত একটু বেড়ে গেছে। আমরা শীতার্ত মানুষের জন্য ইতোমধ্যে জেলার ১০টি উপজেলায় ৮৬টি ইউনিয়নে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানের কাছে ৪৩ হাজার কম্বল বিতরণ করেছি। প্রতিটি ইউনিয়নে ৫০০ করে কম্বল দেওয়া হয়েছে। গত বছরের পুরাতন কিছু কম্বল স্টকে ছিল তাও বিতরণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া নতুন কম্বলের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।