নেত্রকোণায় ৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিল জেলা পুলিশ

বিশেষ প্রতিনিধি: স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিবাদকারী বাংলাদেশ পুলিশের ৫০জন মুক্তিযোদ্ধাকে নেত্রকোণায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি একই জেলায়। বুধবার সকাল ১০টার দিকে শহরের কুড়পাড় এলাকায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে জেলা পুলিশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী এতে সভাপতিত্ব করেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন অতিরিক্তি পুলিশ সুপার আল আমিন হোসাইন। বক্তব্য দেন, পৌর মেয়র মো. নজরুল ইসলাম খান, সাবেক পুলিশ সুপার মুক্তিযোদ্ধা মোবারক আলী খান, বাগেরহাট মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক জেলা কমান্ডার ও মোল্লারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুর আলম ছানা মিয়া, নেত্রকোণা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক জেলা কমান্ডার নুরুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এস এম আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শাহজাহান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল, প্রেসক্লাব সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল, রাজারবাগ পুলিশ লাইনের তৎকালীন ওয়ারলেস অপারেটর মো. শাহজাহান মিয়া, সাবেক পরিদর্শক মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন, সাবেক উপপরিদর্শক মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল হোসেন, আবুল কাশেম আজাদ প্রমুখ।
পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান মিয়া সেই ভয়াবহ দিনের স্মৃতিচারণ করে জানান, ‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি বাহিনী একযোগে আক্রমণ করেছিল ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজারবাগ আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজ উদ্যোগে ইংরেজিতে পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণের বার্তাটি দেশের সব থানায় পাঠিয়েছিলেন। তিনি বেতার বার্তায় বলেন, ‘বেইজ ফর অল স্টেশন্স অব ইস্ট পাকিস্তান পুলিশ, কিপ লিসেন অ্যান্ড ওয়াচ, উই আর অলরেডি অ্যাটাকড বাই পাক আর্মি। ট্রাই টু সেভ ইয়োরসেলভস, ওভার।’ ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বেতারযন্ত্রের মাধ্যমে সারা দেশে এই বার্তা ছড়িয়ে দেন। এজন্য পরদিন ২৬ মার্চ ভোর পাঁচটার দিকে পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকেসহ কয়েকজন সহকর্মীকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায়।’
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে রাজারবাগের ওয়্যারলেস অপারেটর হিসেবে অন্যান্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া। পরে তিনি উপপরিদর্শক (সাব ইন্সপেক্টর) হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে অবসরে যান। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার বাড্ডা গ্রামে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।