বারহাট্টায় ইউপি চেয়ারম্যান কাঞ্চন বরখাস্ত

স্টাফ রির্পোটার: নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার ৬ নম্বর সিংধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। বুধবার রাত পৌনে সাতটার দিকে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম মোরশেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শাহ মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চন জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক।
স্থানীয় বাসিন্দা, উপজেলা প্রশাসন ও প্রজ্ঞাপন সূত্রে গেছে, চেয়ারম্যান শাহ মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চন আলোকদিয়া সেতু থেকে সিংধা চৌরাস্তায় উভয় পাশে রোপিত সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে সেই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তিনি হোল্ডিং এসেসমেন্টের জন্য ইউনিয়নের প্রতিটি পরিবারের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া অবৈধভাবে বয়স্কভাতা প্রদান ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নাম এবং লগো ব্যবহার করা কার্ড যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে তৈরি করেছেন। এই বিষয়গুলো নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কাযালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী কমিশনার কর্তৃক প্রমাণিত হয়েছে। যেহেতু চেয়ারম্যান শাহ মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চন কর্তৃক সংগঠিত অপরাধমূলক কাযক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থে পরিপন্থী। তাই তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক কাজ সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। তার এই অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থে পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী উল্লেখিত চেয়ারম্যানকে তার স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম বলেন, ‘আদেশের কপিটি এখনো পাইনি। তবে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোরশেদ বলেন, সিংধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সাময়িকভাবে বরখাস্তে জন্য গত মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. ইফতেকার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত প্রাজ্ঞাপনটি ওয়েব সাইডে দেখেছি। কিন্তু এখনো হাতে এসে পৌঁছেনি। আদেশটি পেলে হাতে পেলে তা কার্যকর করা হবে।’
তবে চেয়ারম্যান শাহ মাহবুব মোর্শেদ কাঞ্চন দাবি করে বলেন, ‘আমি কোন সরকারি গাছ কাটা ও গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করিনি। ঝড়ে কিছু গাছ উপড়ে পড়ে গিয়েছিল। তা প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করে সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছি। আর আমার পরিষদের (৪,৫,৬) নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য সন্ধ্যা রানী আমার বিরুদ্ধে বয়স্কভাড়া, হোল্ডিংসহ এসব মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।