নেত্রকোণায় স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি: একটি ধর্মীয় সভা থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগ ওঠেছে। ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটিকে বর্তমানে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার নেত্রকোনা সদর উপজেলার লক্ষ্মীগঞ্জ ইউনিয়নের একটি গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত আটটা থেকে লক্ষ্মীগঞ্জ ইউনিয়নের বাজনীপাড় হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ধর্মীয় সভা হয়। এতে ওই স্কুল ছাত্রী তার নানীর সঙ্গে ওয়াজ মাহফিল শুনতে যায়। ওই দিন রাত ১১টার দিকে বাজনীপাড়া গ্রামের পিয়েল মিয়া (২৫) ও তরিকুল ইসলাম (২৬) নামে দুই বখাটে মেয়েটিকে সেখান থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে পিয়েল মিয়া টাকার লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে সে রাজি না হওয়ায় পিয়েল হাত-পা ও মুখ বেঁধে জোড় করে আড়কোল করে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যান। পরে তাকে পিয়েলের বাড়ির একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। মেয়েটির ভাষ্য, পিয়েল তাকে ধর্ষণ করার পর এ কথা কাউকে জানালে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে তার হাত-পা ও মুখের বাঁধন খুলে দেন। এরপর দিন গত বুধবার বিভিন্ন সময় আবারও ধর্ষণ করেন। পরে বুধবার রাত দুইটার দিকে পিয়েল মেয়েটিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেন। মেয়েটি বাড়িতে এসে তার পরিবারকে ঘটনা খুলে বললে স্বজনরা তাকে রাত সাড়ে তিনটার দিকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পিয়েল পলাতক রয়েছেন। আর তার সহযোগী তরিকুল ইসলামকে গত বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টার দিকে পুলিশ আটক করেছে।
নেত্রকোণা সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম খান বলেন, ‘মেয়েটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত।’
এ ব্যাপারে নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বলেন, ‘ মেয়েটির বাবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করতে এসেছেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানিয়েছে পিয়েল নামে এক যুবক তাকে সভা থেকে ডেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছেন। আর তরিকুল নামের যুবক এই কাজে সহযোগিতা করেছেন। তরিকুলকে আটক করা হয়েছে। পিয়েলকে আটকের চেষ্টা চলছে।’

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।