রাস্তায় প্রসব হওয়া নবজাতক ও মায়ের স্বজনদের খোঁজ পেতে পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রির্পোটার: গভীর রাতে রাস্তায় সন্তান প্রসব হওয়া এক নারী ও তার নবজাতক সন্তানের স্বজনদের খুঁজে পেতে নেত্রকোণা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বৃহষ্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুন্সি।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানায়, গত ১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে এগারোটার দিকে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার সাাহতপুর বাজার এলাকার পেরী গ্রামের রাস্থায় উপর একটি সন্তান প্রসব করে মানসিক প্রতিবন্ধি এক নারী। ওই সময় স্থানীয়রা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ সদ্য ভুমিষ্ট হওয়া শিশু ও মাকে প্রথমে কেন্দুয়া ও পরে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ভুমিষ্ট হওয়া নবজাতকের নাম রাখা হয় “জয়িতা”। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার) এসএম আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) ফখরুজ্জামন জুয়েল, এএসপি আল আমিন, জেলা প্রেসক্লাব সম্পাদক শ্যামলেন্দু পারসহ প্রিণ্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
ওই মা ও মেয়েকে দুজন নারী কনস্টেবল দিয়ে পাহারাসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে জেলা পুলিশ। মানসিক প্রতিবন্ধি নারী তার নাম পরিচয় বলতে পারেনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নেত্রকোণার কেন্দুয়া আঠারোবাড়ি সড়কের ফেরিরমোড় এলাকায় ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে অজ্ঞাত এক মানসিক প্রতিবন্ধি নারী পেটের ব্যথা নিয়ে এক দোকানে পানি খেতে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পেটের ব্যথায় ছটফট করতে থাকে। কেন্দুয়ায় সান্দিকোনা ইউনিয়নের ফেরির মোড় এলাকায় জাহিদ হাসান জনির মনোহারি দোকানের সামনে ওইসময় একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয় ওই মানসিক প্রতিবন্ধি নারী।
দোকানদার জাহিদ হাসান জনি জানান,“ওই কিশোরী অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় তার দোকানে এসে পানি খেতে চায়। পানি দিলে, সে পানি খেয়ে চলে যায়। এসময় শুধু তার কোমড়ে বুকে একটি ওরনা পেঁচানো ছিল। কিছু দূর যেতেই সে একটি সন্তান প্রসব করে।
এঘটনার পর আমি আমার আম্মা আসমা খাতুনকে ডেকে এনে দেখাই। আম্মা শিশুটিকে আঘঘণ্টা শুশূষা করি। এরপর আমার বড় ভাই শামীম আহমেদ নূর সিএনজি ভাড়া করে কেন্দুয়ার আদমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। চিকিৎসকের সাথে কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি করান।”
ওই দিন কেন্দুয়া হাসপাতালে ভর্তির পর কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান শিশুটি এবং তার মাকে চিকিৎসার খোঁজ খবর রাখেন।
পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুন্সি জানান, আমরা মা এবং নবজাতক শিশুকে দুজন নারী কনস্টেবল দিয়ে সার্বক্ষণিক দেখবালের ব্যবস্থা করেছ। মা শিশু দুজনেই সুস্থ। শিশুটির মা মানসিক ভারসাম্যহীন। ওই নারী শিশু যত্ন বুঝেন না। শিশুটিকে কোথাও ফেলে দিতে পারে। মেরে ফেলতে পারে। এই অবস্থায় তাদের পরিচয় শনাক্ত করা জরুরী। শিশুটিকে অনেকেই নিতে আগ্রহী আছে। কিন্তু তার মায়ের দিক বিবেচনা করে আমরা সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রচারের চেষ্টা করছি। যদি তাদের স্বজনদের খুঁজে পাই তাদের হাতে তুলে দেব।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।