বারহাট্টায় প্রতিশোধ নিতে হাত পায়ের রগ কর্তন

বিশেষ প্রতিনিধি: মাত্র চার মাস আগে তিনি শত্রুতাবশত সাইকুল ইসলামের পায়ের রগ কেটেছিলেন। শুক্রবার রাতে প্রতিশোধ নিতে ওই সাইকুল তার হাত পায়ের রগ কেটেছেন।
পুলিশ জানায়, তাদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ছিল দীর্ঘদিনের। এরই জেরে চলতি বছরের ২৬ জুন বারহাট্টা উপজেলা গোড়ল গ্রামের চায়ের দোকানদার উসমান গণি সাইকুল ইসলামকে পায়ের রগ কেটে দেয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয় সাইকুল। শুক্রবার রাতে বারহাট্টার আটগাঁও বাজারে সাইকুল তার ভাইদের নিয়ে উসমান গণিকে হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। ঘটনার পর তাকে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ও পরে মুমূর্ষ্য অবস্থায় রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাত পায়ের রগ কাটার শিকার উসমান গণি (৪৯)। তিনি আসমা ইউনিয়নের গোড়ল গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।
আহতের ছোটভাই ইনছান গণি ও মো. আব্দুল্লাহ্ জানায়, আটগাঁও বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে এঘটনা ঘটে।তিনি আরো জানান, পথের মধ্যে দেওপুর ঈদগাহ্ মাঠের কাছে পৌঁছলে আগে থেকে জঙ্গলে উৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষ অলি মিয়া (৩০), সাইফুল ইসলাম (৪০), তরিকুল ইসলাম (৩৫), হাবিব মিয়া, দিপু মিয়া (৩৫), শফিক মিয়া প্রত্যেকে উসমানের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এঘটনা ঘটায়।
হত্যার চেষ্টায় তাকে অতর্কিত হামলা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম, হাত পায়ের রগ কেটে ধারালে অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উসমানকে পর্যায়ক্রমে বারহাট্টা, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেয়া হয়।


বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম খান জানান, পূর্বে থেকেই প্রতিবেশি দুই পরিবারের মধ্যে শুত্রুতা ছিল। চলতি বছরের ২৬ জুন বারহাট্টা উপজেলা গোড়ল গ্রামের চায়ের দোকানদার উসমান গণি সাইকুল ইসলামকে পায়ের রগ কেটে দেয়। এ ঘটনার জেরে উসমান গণিকে হাত পায়ের রগ কেটেছে। এঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এরিমধ্যে মামলার প্রধান আসামী সাইকুল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।