নাটোর মহাসড়কে বেড়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার

হাসান, নাটোর: নাটোরের মহাসড়কে দূর্ঘটনা রোধ এবং নিরাপদ ভ্রমণ সেবা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে গাড়ীর গতিবেগ নির্ধারণ, কাগজপত্রের মেয়াদ দেখা ও ড্রাইভার মাদকাসক্ত কিনা তা সহজেই নির্ণয় করছে হাইওয়ে পুলিশ। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার মহাসড়ককে নিরাপদ করছে। এতে খুশি স্থানীয়রা।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নাটোর-পাবনা এবং বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। বাস, ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহনের ড্রাইভার মাদকাশক্ত কিনা বা কি পরিমাণ মাদক গ্রহণ করেছে তা নির্ণয় করতে ব্যবহার করা হচ্ছে এ্যালকোহল ডিরেক্টর মেশিন। সেই সাথে মহাসড়কে নির্ধারিত ৮০ কিলোমিটার গতিবেগের চেয়ে বেশী গতির যানবাহনগুলো সনাক্তে ব্যবহার করা হচ্ছে স্পিডগান মেশিন। সেই সাথে সব ধরনের কাগজ ঠিকঠাক আছে কিনা তা নির্নয় করা হচ্ছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (আরএফআইডি) প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
ফেরদৌস উল আলম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, নাটোরে ১১০ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। দেশের অন্যতম দূর্ঘটনা প্রবন মহাসড়ক এটি। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দূর্ঘটনার পরিমান অনেকটাই কমে আসবে। হাইওয়ে পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তিনি।
বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, যানবাহন বান্ধব মহাসড়ক নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিযান পরিচালনা করার ফলে খুব সহজেই হাইওয়ের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে দূর্ঘটনা কমিয়ে এনে মহাসড়কে নিরাপদ ভ্রমন নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।
বগুড়া হাইওয়ে সার্কেলের সিনিয়র এএসপি রায়হান ইবনে রহমান জানান, মহাসড়কে দূর্ঘটনার পরিমান কমিয়ে আনতে আমাদের এই অভিযান নিয়মিত চালানো হচ্ছে। যানবাহনবান্ধব মহাসড়ক নিশ্চিত করতে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে করে খুব দ্রততম সময়ের মধ্যে যানবাহনের গতিবেগ, চালক মাদকাসক্ত কিনা এবং গাড়ির কাগজপত্র সব ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। এতে করে আমাদের বেশি সময়ের প্রয়োজন হচ্ছে না। একইসঙ্গে খুব সহজেই হাইওয়ের যানবাহন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। আগামীতেও আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।