
বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণার কেন্দুয়া আঠারোবাড়ি সড়কের ফেরিরমোড় এলাকায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত বারোটার দিকে অজ্ঞাত এক পাগলি শিশু পেটের ব্যথা নিয়ে এক দোকানে পানি খেতে চেয়ে পরে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পেটের ব্যথায় ছটফট করতে থাকে। কেন্দুয়ায় সান্দিকোনা ইউনিয়নের ফেরির মোড় এলাকায় জাহিদ হাসান জনির মনোহারি দোকানের সামনে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়।
দোকানদার জাহিদ হাসান জনি জানান,ওই কিশোরী উলঙ্গ অবস্থায় তার দোকানে এসে পানি খেতে চায়। পানি দিলে,সে পানি খেয়ে চলে যায়। এসময় শুধু তার কোমড়ে একটি ওরনা পেঁচানো ছিল। কিছু দূর যেতেই সে একটি সন্তান প্রসব করে।
এঘটনার পর আমি আমার আম্মা আসমা খাতুনকে ডেকে এনে দেখাই। আম্মা শিশুটিকে আঘঘণ্টা শশূষা করি। এরপর আমার বড় ভাই শামীম আহমেদ নূর সিএনজি ভাড়া করে কেন্দুয়ার আদমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। চিকিৎসকের সাথে কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি করান।
জনির বড় ভাই শামীম আহমেদ জানান, ভর্তি সময় চিকিৎসকরা বলেছেন, প্রসব হওয়া শিশুটি সুস্থ আছে। শিশুটির মাকেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে ভর্তির পর কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামানের সাথে কথা বলেছি।
তিনি আরো জানান, ওই পাগলীর মেয়েটির বয়স পনেরো ষোলো হবে। সে তার নাম ঠিকানা কিছু ই জানে না। বলতে শিশুটির পিতৃপরিচয়ও। সকালে হাসপাতালে শিশু ও তার পাগলি মায়ের খোঁজ নেবেন বলেও জানান তিনি।