
স্টাফ রির্পোটার: ভিন্ন শ্রেণী ও পেশার তিনজন উদ্যোক্তার হাত ধরে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে এগিয়ে চলছিলো ছাব্বিশ বছরের পুরাতন একটি টিনশেড মসজিদের নির্মাণ কাজ। পুরাতন ভাঙ্গা টিনশেডের মসজিদটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন বারহাট্টা উপজেলার কর্ণুপুর গ্রামের গণমাধ্যম কর্মী কামাল হোসাইন, সেনাবাহিনী থেকে পিজিআর-এ কর্মরত রাসেল আরাফাত ও স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুয়েল মিয়া।
চলছে পাকা ভবন নির্মাণের কাজ। কিন্তু কিছুদিন ধরে অর্থ সংকটে হঠাৎ-ই থেমে গেছে মসজিদ নির্মাণের কাজ। আর নির্মাণ কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মসজিদে নামাজ আদায় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মুসল্লিগণ।
অপরদিকে নির্মাণ কাজ শেষ করতে না পাড়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের উত্তরপাড়া জামে মসজিদটি ছাব্বিশ বছরের পুরাতন।
এখানে শতাধিক পরিবারের মুসল্লিগণ নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। যার বেশিরভাগই কৃষক আর খেটে খাওয়া মানুষ। মসজিদটি প্রতিষ্ঠা লগ্নে কুঁড়ে ও পরে ঢেউটিনে টিনশেড করা হয়েছিল।
পুরাতন ঢেউটিনের ভাঙা ছিদ্র দিয়ে মসজিদের ভিতরে বৃষ্টির পানি পড়াসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে নামাজ পড়তে এসে নানারকম প্রতিকূলতার মুখে পড়তেন মুসল্লিরা।
পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠার জন্য সম্প্রতি সময়ে গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা সাংবাদিক কামাল হোসাইন, সেনাসদস্য রাসেল আরাফাত, বিদ্যালয় শিক্ষক জুয়েল মিয়া ও উদ্যোগ নিয়ে কাজে নেমে পড়েন। কিন্তু অর্থ সংকটে বেশিদূর এগুতে পাড়েনি তারা।
উল্টো মসজিদ ভেঙে হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীর এখন নামাজ আদায়ও সম্ভব হচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টে কর্মরত রাসেল বলেন, কাজটি শেষ করতে না পেরে অপরাধে ভোগছি। কাজ ধরেছি শেষ করতে না পারায় মুসল্লিরা মসজিদে এখন নামাজ আদায় করতে পারছেন না।
সাংবাদিক কামাল হোসাইন বলেন,নিজেরা এবং স্থানীয়রা মিলে পঞ্চাশ শতাংশের কাছাকাছি নির্মাণ কাজ শেষ করেছি। কিন্তু এখন আর এগিয়ে নিতে পারছি না। মসজিদের পুরো কাজ শেষ করতে হলে আরো সাড়ে চার/পাঁচ লাখ টাকার প্রয়োজন। ভেবে পাচ্ছি না কি হবে ? নিশ্চয়ই আল্লাহর ঘর মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। দেশ বিদেশের ধর্মপ্রাণ অনেক বন্ধু-বান্ধব সহযোগিতা করেছেন,আশ্বাস দিয়েছেন। যেকেউ এই কাজে এগিয়ে আসতে পারেন।
গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মন্নাফ জানান, নির্মাণ কাজ শেষ না হলে আর মসজিদে নামাজ আদায় হবে না। এখন আল্লাহ্ জানেন কবে টাকা-পয়সা জোগাড় আর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। আমরা খেটে খাওয়া গ্রামের গরীব মানুষ। বড় অংকের টাকা দিয়ে তো আর সাহায্য করতে পারবো না। সুতরাং নির্মাণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজের জন্য করতে হবে।মসজিদটি নির্মাণে সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে পারেন। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: ০১৭১২-৪৭৬৭৪১ কামাল হোসাইন, (বিকাশ পার্সোনাল) রাসেল আরাফাত, (মোবাইল ফোন-০১৭২৫০৫৮১৭৫ (বিকাশ পার্সোনাল)