পুলিশ পরিচয়ে ব্যাবসায়ীর ৬লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৮ ডাকাত গ্রেফতার

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যাবসায়ীর ৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৮ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে গ্রেফতারকৃতরা ছিনতাই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোর পুলিশ লাইনস্ অডিটোরিয়ামে এক প্রেসব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরাম হোসেন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, ডিবি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈকত হাসানসহ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গড়মাটি গ্রামের মৃত কোরবান আলী মোল্লার ছেলে আলহাজ্ব আহম্মদ আলী সোনালী ব্যাংক বনপাড়া শাখা থেকে ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। পরে সিএনজি যোগে তার নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে মুচিপাড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাস সিএনজির গতিরোধ করে। সিএনজি থামা মাত্র অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আহম্মদ আলীকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সিএনজি থেকে নামতে বাধ্য করে। পরে তারা আহম্মদ আলীর হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে তাকে কিল ঘুষ মারতে মারতে জোরপূর্বক মাইক্রোবাস তুলে নেয়।
এরপর তারা মাইক্রোবাসের ভিতরে আহম্মদ আলীর কাছে থাকা ৬ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তার মধ্যে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় আহম্মদ আলী বড়াইগ্রাম থানায় ১৩ সেপ্টেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তে নামে।
তদন্তের এক পর্যাযে সিরাজগঞ্জ মুক্তির সোপান এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস ও তার চালক ইউসুফকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যমতে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘটনার সাথে জড়িত আরো ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী গ্রহন করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা আরো জানায়, তারা দীর্ঘদিন ধরেই ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও পাবনাসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছিল।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।