নেত্রকোণা আঞ্জুমান আদর্শ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ,তালা

স্টাফ রির্পোটার: নেত্রকোণা আঞ্জুমান আদর্শ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর অসুস্থ শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রাফি’র চিকিৎসার জন্য স্কুল প্রত্যায়ন পত্র ও কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে সহায়তা না দেয়ায় বৃহষ্পতিবার দুপুরে আন্দোলনে করেছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানায়,নবম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী রাফি’র হার্টে ছিন্দ্র ধরা পড়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত নিয়ে যেতে স্কুল প্রত্যায়ন পত্র ও সহায়তা চাইতে গেলে শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে বের করে দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আকলিমা খাতুন। পরে তারা বিদ্যালয়ের গেইটে তালা ঝুলিয়ে দুই ঘণ্টা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বায়েজীদ আহমেদ জানায়,সহপাঠী সাব্বির হোসেন রাফি গুরুত্বর অসুস্থ। তার বাবা-মা’র পক্ষে চিকিৎসা চালানো সম্ভব নয়। আমরা চিকিৎসার জন্য ছাত্রদের নিকট থেকে টাকা তুলেছি। তাকে ভারত নিয়ে চিকিৎসা করাতে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা প্রত্যায়ন পত্র দিচ্ছেন না। স্কুলের ফান্ড থাকার পরও ফান্ড থেকে কোনো প্রকার সহায়তাও দিচ্ছেন না। শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে বের করে দেয়ায় আমরা আন্দোলনে নেমেছি। প্রয়োজনে আমরা রাস্তায় থাকবো।
আঞ্জুমান আদর্শ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফরিদুর রেজা খান, সামী নিকু,মাহি ও সাকিব জানায়,“অসুস্থ শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রাফি’র চিকিৎসার কোনো প্রকার সহায়তা না দিয়ে অসহযোগিতা করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। আমরা তার প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই আমাদের এই শিক্ষার্থী সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক।”
অসুস্থ শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন রাফি’র বাবা শহরের কুড়পাড় এলাকার বাসিন্দা আব্দুস ছালাম জানান, সে ১৮ সেস্টেম্বর অসুস্থ হয়ে যায়। পরে রাফিকে প্রথমে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হার্টের চিকিৎসক কৌসিক ভৌমিককে দেখানো হয়েছে। ইকো পরীক্ষা নিরিক্ষার পর চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার রাফি’র হার্টে ছিন্দ্র বাল্পের সমস্যা ধরা পড়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু আমার পক্ষে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। রাফির মা-বাবা সকলের সহায়তা চেয়েছেন।
এঘটনায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আকলিমা খাতুন জানান, শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য স্কুল ফান্ড থেকে এক লক্ষ টাকা সহায়তা দাবি করলে কর্তৃপক্ষ দশ হাজার টাকা দিতে চাইলে তারা ক্ষেপে গিয়ে আন্দোলন শুরু করে। পরে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিকিৎসার সহায়তার জন্য আবেদন দেবার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ তুলে নেয়।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মনোয়ার হোসেন, নেত্রকোণা সদর সাকের্লের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল,সদর থানার ওসি তাজুল ইসলাম খান বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।