‘২০২১ সালের মধ্যে ৪ হাজার শিক্ষার্থীর একাডেমিক ভবন হল ও আবাসনের কাজ সম্পন্ন হবে।’-উপাচার্য,শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়

গত বছরের ২৮ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে পাস হয় ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৮’। তারপর নেত্রকোণার ৪৯৮.৪৫ একর জমিতে ‘শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনে ২ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। দেশের ৩৯তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়। শহরের রাজুরবাজার এলাকায় অবস্থিত টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে (টিটিসি) অস্থায়ীভাবে গত বছর থেকে ৯০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানোর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে।
দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনা বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান। প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ, সমস্যা-সম্ভাবনা, সফলতা, আধুনিকায়ন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ আসন্ন ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয় নিয়ে দৈনিক বাংলার নেত্র’র পক্ষ থেকে সম্প্রতি উপাচার্যের মুখোমুখি হয়েছেন কিংশুক পার্থ।


বাংলার নেত্র: প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যে ভরপুর নেত্রকোণা জেলাতে রয়েছে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ, ফসলী মাঠ, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য হাওড়-বাওড়। সেখানে ফোটে অসংখ্য নাম না জানা ফুল। আর সেসব ফুলে বসে প্রজাপতি, ভ্রমর খেলা করে যা প্রকৃতিকে মনোমুগ্ধকর রূপে আমাদের সামনে উপস্থাপন করে। এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য হিসেবে মহান দায়িত্ব পেয়ে আপনার অনুভূতি কী?
উপাচার্য: এতবড় গুরুদায়িত্ব পালনের জন্য সত্যিকার অর্থে প্রস্তুত ছিলাম না। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমার উপর আস্থা রেখে আমাকে এ গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেছেন। আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার উপর যে আস্থা রেখেছেন, তা আমার দায়িত্ববোধকে অনেক বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামী কয়েক বছর শুধু এ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়েই ভাবতে ও কাজ করতে চাই।


বাংলার নেত্র: ক্যাম্পাস বিনির্মাণে বর্তমানে কী ধরনের কার্যক্রম চলমান?
উপাচার্য: ক্যাম্পাসের মাস্টারপ্লান করা হয়েছে। একনেকে বিল পাস হয়েছে। আমরা ৩ বছরের জন্য বরাদ্দ পেয়েছি। মূল ক্যাম্পাসের কাজ শুরু হয়ে গেছে। আশা করি ২০২১ সালের মধ্যে ৪ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একাডেমিক ভবন, ৪টি আবাসিক হল, শহীদ মিনার, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসনের কাজসহ আরো কিছু স্থাপনা নির্মাণ সম্পন্ন হবে।
বাংলার নেত্র: পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোন কাজটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করছেন?
উপাচার্য:শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখা ও অবকাঠামো প্রস্তুত করা। শুরুতেই প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসন গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলার নেত্র: বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বর্তমানে কোন বিষয়টিকে সবচেয়ে বড়ো সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ মনে করছেন?
উপাচার্য: নিজ ক্যাম্পাসে দ্রুততম সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পারাই আমার মূল লক্ষ্য বা চ্যালেঞ্জ। দক্ষ জনবল নিয়োগের বিষয়টিও কিন্তু অনেক চ্যালেঞ্জিং।
বাংলার নেত্র: বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
উপাচার্য: আশা করছি ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পারবো। অন্তত ৪ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে অন্তত ৫০টি বিভাগ চালু হবে। দেশি বিদেশি শিক্ষক ও বিশেষজ্ঞ দ¦ারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর পাঠক্রম এবং বিভাগভিত্তিক ল্যাব সুবিধা চালু করা আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ।
বাংলার নেত্র: এক বছরের মাথায় ক্যাম্পাসের অর্জনগুলো কী কী?
উপাচার্য: ইতোমধ্যে আমরা জমি অধিগ্রহণের প্রায় শেষ পর্যায়ে আছি। একদিকে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলমান, অন্যদিকে অনুমোদনের পর দ্রুততম সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতবছর প্রথমবারের মতো নেত্রকোণা জেলাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পেরেছি, যা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিলো। নির্দিষ্ট সময়ে প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলার নেত্র: শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় মোট ৩টি বিভাগ যথা-বাংলা, ইংরেজি ও অর্থনীতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। ভবিষ্যতে আর কোন কোন বিভাগ বা ইনস্টিটিউটকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুরু করা হবে?
উপাচার্য: দেখুন এ বিশ্ববিদ্যালয় শুরুতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা থাকলেও চূড়ান্তভাবে সাধারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জাতীয় সংসদে অনুমোদন লাভ করে। তবে আমাদের প্রত্যাশা এটি হবে দেশের পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যদিকে এ এলাকার লোকসাহিত্য, সংস্কৃতি, হাওড় ইত্যাদি বিষয়কে মাথায় রেখে আমরা এ বিভাগগুলো নিয়ে ভাবছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কেন্দ্রিক যুগোপযোগী কর্মনির্ভর বিষয়গুলোকে আমাদের অর্গানোগ্রামে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এ বছর কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নতুন করে যুক্ত হলো। ২০২১ সাল নাগাদ ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, কমিউনিকেশন, জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিসংখ্যান, ম্যাথমেটিক্স, এপ্লাইড ফিজিক্স, এগ্রিকালচার, ফিশারিজ বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব হাওড় স্টাডিজ, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ইনস্টিটিউট অব কালচার এ- ফোকলোর স্টাডিজ -এমন অন্তত ১০টি বিভাগ ইনস্টিটিউটকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে বাংলাদেশ অধ্যয়ন, ইংরেজি ও কম্পিউটার সায়েন্স এ- ইঞ্জিনিয়ারিং সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোর্স থাকবে।
বাংলার নেত্র: বঙ্গবন্ধু চেয়ার কি করা হবে?
উপাচার্য: অবশ্যই হবে। শুরুতেই বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হবে।
বাংলার নেত্র: বলা হচ্ছে এটি দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হবে। এ রূপরেখা বাস্তবায়নে কী কী নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ আইটি পার্ক, আইটি কোম্পানি হাব হবে কিনা?
উপাচার্য: আমাদের আইটি পার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে দেশ বিদেশ থেকে কোম্পানিগুলো আসবে। শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন এখানে গবেষণা করার সুযোগ পাবে, অন্যদিকে থাকবে চাকরির সুযোগ। এসব বিষয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনায় রয়েছে।
বাংলার নেত্র: মনোমুগ্ধকর পরিবেশের ৪৯৮.৪৫ একর জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢেলে সাজানো হবে। ক্যাম্পাসের নকশা বা এর রূপকার কে?
উপাচার্য: আসলে এটি একটি যৌথ প্রচেষ্টা। দেশের সেরা সব প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে এর মাস্টারপ্লান বাস্তবায়ন করবে।
বাংলার নেত্র: রাজুরবাজারে অবস্থিত টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে (টিটিসি) অস্থায়ীভাবে গত বছর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমও শুরু হয়েছে, মূল ক্যাম্পাসে কবে থেকে কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে আপনি আশা করেন?
উপাচার্য: ২০২১ সালের মধ্যে আশা করছি আমরা মূল ক্যাম্পাসে পূর্ণাঙ্গভাবে কার্যক্রম চালু করতে পারবো।
বাংলার নেত্র: বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগোটি থেকে সম্পূর্ণ নেত্রকোণা জেলা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। এ লোগোটির রূপকার কে?
উপাচার্য: বর্তমানে যে লোগোটি রয়েছে, তা চূড়ান্ত নয়। চূড়ান্ত লোগোটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এটি নির্মিত হয়েছে। চূড়ান্ত লোগোটির প্রতিটি প্রতীক নির্দেশ করছে এই এলাকার নানা বৈশিষ্ট্য- যেমন: উড়ন্ত পাখির প্রতীক, যাতে নেত্রকোণার পাহাড়ী ও নদীবেষ্টিত এলাকার সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। খোলা বই সম্বলিত চিহ্ন, যা জ্ঞানের প্রতীক নির্দেশ করে। পাহাড় সম্বলিত প্রতীক, যা সোমেশ্বরী নদী সংলগ্ন শ্বেতশুভ্র গারো পাহাড়কে নির্দেশ করে। পাহাড়ের পাদদেশের টলটলে স্বচ্ছ জলধারা মগড়া, কংস, সোমেশ্বরী ও সংলগ্ন হাওর অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে। রয়েছে গারো সমাজের জাতিগত শিল্পের চিহ্ন এবং চিনামাটির গেরুয়া রঙ, যা চীনামাটির পাহাড়গুলোকে ইঙ্গিত করে। এগুলো থেকে সম্পূর্ণ নেত্রকোণা জেলা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়।
বাংলার নেত্র: বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উদ্দেশ্য জ্ঞান উৎপাদন করা। গবেষণার বিষয়টি কেমন প্রাধান্য পাবে? গবেষণার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলোর উপর বেশি আলোকপাত করা হবে?
উপাচার্য: এটি শতভাগ গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এখানকার হাওড় বাওড়, চীনা মাটি, সাদামাটি, মৎস্য স¤পদ ইত্যাদি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে সকল বিষয়ে গবেষণা করা হবে।
বাংলার নেত্র: নেত্রকোণাকে বলা হয় শিল্প সংস্কৃতির চারণভূমি। এ অঞ্চলের শিল্প সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ও চর্চা করতে ক্যাম্পাসে কী রকম সামাজিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বা ক্লাব থাকবে?
উপাচার্য: এখানকার শিল্প সংস্কৃতি ও লোকসাহিত্যকে বাঁচানো ও চর্চার ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও ক্লাব থাকবে, রিসার্চ সেন্টার হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাস রেডিও, ক্যাম্পাস টেলিভিশন, জিমনেসিয়াম, গলফ ক্লাব করা হবে।
বাংলার নেত্র: বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর কিংবা বিশেষ কোনো ব্যক্তির প্রতিকৃতি বা ভাস্কর্য নির্মাণের পরিকল্পনা আছে কি ?
উপাচার্য: অবশ্যই। এ বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্যকে ধারণ করেই এগিয়ে যাবে। অদূর ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর মনুমেন্ট, বিখ্যাত ব্যক্তিদের প্রতিকৃতি ও মিউজিয়াম করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে মূল গেইটে প্রতিকৃতি থাকবে।
বাংলার নেত্র: বিদেশি শিক্ষার্থীদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার বিষয়ে আগ্রহী করার ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ ভাবনা আছে কি?
উপাচার্য: বিদেশি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করার জন্য শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। থাকবে ফরেন কোটা। তাছাড়া দেশের বাইরে থেকে ভিজিটিং টিচার আনা হবে।
বাংলার নেত্র: এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় কি আগের মতোই নম্বর বণ্টন থাকবে? সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার সুযোগ কি থাকছে ? আসন সংখ্যা কি বাড়তে পারে ? নতুন কোনো বিভাগ কি এ বছর চালু হতে পারে ? এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষা কি একসঙ্গেই অনুষ্ঠিত হবে?
উপাচার্য: হ্যাঁ, ভর্তি পরীক্ষায় আগের মতোই নম্বর বণ্টন থাকবে। একই সঙ্গে এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। থাকছে না ২য় বার পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ। এ বছর প্রথমবারের মতো কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ৩০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট যঃঃঢ়ং://ংযঁনফ.হবঃ –এ।
বাংলার নেত্র: এ বছর যারা ভর্তি পরীক্ষার্থী, তাদের ব্যাপারে আপনার উপদেশ কী?
উপাচার্য: ভর্তিচ্ছু সকল পরীক্ষার্থীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানাই। পাঠ্যপুস্তক, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, ইংরেজি, বিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিষয়ে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার উপদেশ থাকবে।
বাংলার নেত্র: হাওড় অঞ্চলের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি জননেত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি কোনো নির্দেশনা কি আছে?
উপাচার্য: প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর। প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র ঠিক রেখে প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ করা ও গবেষণানির্ভর একটি বিশ্ববিদ্যালয় করা হোক এমন নির্দেশনা রয়েছে। তিনি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গবেষণা ও উদ্ভাবন দক্ষতাকে বিষয়কে গুরুত্ব দিতে বলেছেন যেন এখানকার কোন গ্রাজুয়েট শিক্ষাজীবন শেষে বেকার না থাকে।
বাংলার নেত্র: সময় দেওয়ার জন্য দৈনিক বাংলার নেত্র’র পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।
উপাচার্য: আপনাকেও ধন্যবাদ।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।