
মদন প্রতিনিধি: সরকার যখন স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে বদ্দ পরিকর ঠিক সে সময় নেত্রকোণার মদন উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালের একমাত্র এম্বুলেন্সটি বিকল হওয়ায় ভর্তি থাকা ও জরুরী রোগী পরিবহনে রোগী সাধারণ হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। বাধ্য হয়ে ভুৃক্তভোগীরা প্রায় সময়েই বাহির থেকে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার বাড়তি টাকা ভাড়া দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও নেত্রকোণার আধুনিক সদর হাপাতালে যেতে হয়। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা উন্নয়ন কমিটির মাসিক সভায় বার বার উত্তাপন করা হলেও শুধু প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয় কিন্তু বাস্তবে কোনো কাজ হচ্ছে না।
গত ৮মার্চ ২০০৩ সালে এম্বুলেন্সটি মদন হাসপাতালে বরাদ্দ দেয়া হয়। এর পর আর কোনো নতুন এম্বুলেন্স বরাদ্দ না দেয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় সময়েই রাস্তায় বিকল হয়ে রোগী ও তার লোকজন দূর্ভোগে ভুগছে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর একাধিকবার প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন বলে জানাযায়। কিন্তু অদ্যাবদি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাওর এলাকার তিন উপজোলার জরুরী রোগী পরিবহনে জনসাধারণ দারুন দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মদন হাপাতালের এম্বুলেন্স চালক আবুল হোসাইন মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, এম্বুলেন্সটি নিয়ে গত ৪/৫ বছর যাবত খুইব দূর্ভোগে আছি। জরুরী রোগী নিয়ে ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণা হাসপাতালে রওনা হলে এম্বুলেন্সটি প্রায়েই রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে। এ সময় রোগীর লোকজনসহ আমি খুবই বেকায়দায় পড়ি। এখানে একটি নতুন এম্বুলেন্স সরবরাহ করার জন্য টিএইচও স্যারের মাধ্যেমে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর একাধিক প্রতিবেদন প্রেরণ করেছি।
মদনের স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ফখরুল হাসান চৌধুরী টিপু জানান, ২০০৩ সালে সরবারহ করা এ এম্বুলেন্সটি পুরাতন হওয়ায় নানা যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। প্রায় সময়েই রাস্তায় এটি বিকল হয়ে পড়ে থাকে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের বরাবর একাধিকবার প্রতিবেদন প্রেরণ করেও কোনো সুফল না পাওয়ায় রোগী পরিবহনে দুর্ভোগে রয়েছে লোকজন।