বারহাট্টায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন : স্বামী আটক

বারহাট্টা প্রতিনিধি: নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলার বাউসী ইউনিয়নের প্রেমনগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী নাজমা আক্তার (২২) পারিবারিক কলহের জের ধরে বুধবার রাতে খুন হয়েছেন। স্বামী রফিকুল ইসলামের টর্চ লাইটের আঘাতে তিনি খুন হন। নাজমা চিরাম ইউনিয়নের চাট্টা গ্রামের কিতাব আলীর মেয়ে। পুলিশ বৃহস্পতিবার দুপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এলাকাবাসী রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বারহাট্টা চিরাম ইউনিয়নের চাট্টা গ্রামের কিতাব আলীর মেয়ে নাজমা আক্তারের সাথে প্রায় চার বছর আগে একই উপজেলার বাউসী ইউনিয়নের প্রেমনগর কান্দাপাড়া গ্রামের আক্তার আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে নাজমাকে প্রায়শই শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করত রফিকুল ইসলাম। কিছুদিন আগে নাজমা বাবার বাড়িতে চলে যায়। বুধবার রাতে রফিকুল ইসলাম শ^শুর বাড়িতে যায় এবং স্ত্রী নাজমাকে তার সাথে বাড়ি যাবার কথা বলে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বুধবার গভীর রাতে বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ে টর্চ লাইট দিয়ে নাজমার মাথায় আঘাত করে রফিকুল ইসলাম। এতে নাজমা আক্তার ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে বারহাট্টা থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বদরুল আলম খান জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। স্বামী রফিকুলকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।