ঝাঞ্জাইলে বালু মহাল ইজারাদারের ক্ষতিপূরণ দাবি

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণা জেলার দূর্গাপুর উপজেলার ঝাঞ্জাইল হতে উত্তর সংকর পর্যন্ত বালু মহালের জমাকৃত বালু বিআইডব্লিওটি কর্তৃক কংশ নদী খনন করার ফলে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু কেটে অন্যত্র ফেলায় চুক্তিপত্রের ৩৫ নং ক্রমিকের শর্তানুযায়ী ক্ষতিপূরণ চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর গত ২৩-০৬-১৯ ইং এবং গত ০৭-০৭-১৯ ইং তারিখ পৃথক দুটি আবেদন করেছেন ঝাঞ্জাইল হতে উত্তর সংকর পর্যন্ত বালু মহালের ইজারাদার ফারুক আহমেদ।
ঝাঞ্জাইল হতে উত্তর সংকর পর্যন্ত বালু মহালটি ১৪২৬ বাংলা সনের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত মেয়াদে ইজারা প্রাপ্ত হন ইজারাদার ফারুক আহমেদ। তিনি সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ইজারা প্রাপ্ত হয়ে ৮৫ লক্ষ ২০ হাজার পরিশোধ করে বালু মহালের দখল গ্রহণ করেন। বালু মহালটি কংশ নদীর তফসিল ভূক্ত ভূমিতে অবস্থিত। সরকারী ভাবে নদী খননের অংশ হিসেবে বিআইডব্লিউটি কর্তৃক কংশ নদীর খনন কার্যক্রম এক মাসের অধিককাল যাবৎ চলমান থাকায় প্রতিদিন উক্ত বালু মহালের জমাকৃত বিপুল পরিমান বালু ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকদের দ্বারা বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে ঝাঞ্জাইল বাজারের আশেপাশে , তাতিরকোনা, ঝারিয়া নাটেরকোণা এলাকার গর্ত ডোবা ভরাট অব্যাহত রাখায় বালু মহালটিতে জমাকৃত বালুর পরিমান দিন দিন কমে যাচ্ছে। এতে ইজারাদার ফারুক আহমেদ আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন জানান, এখানের কিছু দালাল চক্রের মাধ্যমে নদী খননের নাম করে বালু উত্তোলন পূর্বক গর্ত ডোবা ভরাট করে স্থানীয়দের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তপক্ষের সু দৃষ্টি কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ইজারাদার ফারুক আহমেদ।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।