মদনে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ

মদন প্রতিনিধি: নেত্রকোণার মদন উপজেলার মদন আদর্শ কারিগরি কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ছোয়া নিখোঁজ হওয়ার ৮ দিনেও কোনো সন্ধান মিলেনি। সে উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের এনায়েত কবিরের মেয়ে। এ ব্যাপারে মেয়ের সন্ধান চেয়ে পিতা এনায়েত কবির মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, ২৭ আগষ্ট সকালে সুমাইয়া আক্তার ছোয়া কারিগরি কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর বাড়ি ফিরে না আসায় অনেক খোজাখুজি করে পাশের কাওয়ালীবিন্নি গ্রামের মজু রহমানের কলেজ পড়–য়া ছেলে মোফাজ্জল হোসেনকে সন্দেহ করে মেয়েটির পরিবারের লোকজন। ওই রাতেই মেয়েটির বাবা এনায়েত কবির মদন থানায় অপহরণের একটি অভিযোগ করেন।
এব্যাপারে মদনের কাওয়ালীবিন্নি গ্রামের ওই অভিযুক্ত ছেলেন মা হাদিসা আক্তার জানান, আমার ছেলে ঢাকা যাওয়ার কথা বলে ২৭ আগষ্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হয়। ওই দিন বিকালে মেয়ের মা লিপি চৌধুরী আমার বাড়িতে এসে জানান, আপনার ছেলে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আমি আমার ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে মোবইল ফোন বন্ধ পাই। যদি আমার ছেলে ওই মেয়েকে নিয়েই থাকে তবে তাদের বিবাহের ব্যবস্থা করব। তবে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে প্রেম গঠিত কোনো সম্পর্ক ছিল কি না তা তাৎক্ষনিক জানা যায়নি।
নিখোঁজ ওই মেয়ের বাবা এনায়েত কবির জানান, আমার মেয়েকে ২৭ আগষ্ট থেকে খোঁজে পাচ্ছি না। নানা গুঞ্জনে ওই রাতেই এ ব্যাপারে মদন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার মেয়েকে আমি ফেরত চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জানান, ওই মেয়েটির সাথে কাওয়ালীবিন্নির মোফাজ্জলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মদন থানার এস আই রায়হান জানান, এ ঘটনায় মেয়ে বাবা এনায়েত কবির ২৭ আগষ্ট একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মেয়েটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।