সেই কলেজছাত্রী কেন্দুয়ায় মামা শশুরের আশ্রয়ে

বিশেষ প্রতিনিধি : প্রেমিককে খুঁজতে মেহেরপুরের কলেজ পড়ুয়া তরুণী নেত্রকোণা কেন্দুয়ায় এসে প্রেমিক রাজু খান কে না পাওয়ায় পুলিশের মাধ্যমে মামা শশুর রিপন মিয়ার আশ্রয়ে অবস্থান করছেন প্রেমিকা হীরা খাতুন। এর পূর্বে প্রেমিকের বাড়ি কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের কাউরাট গ্রামে অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কসবা গ্রামের রজব আলীর অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী হীরা খাতুন এর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কেন্দুয়া উপজেলার বেজগাঁও গ্রামের আব্দুল্লাহর ছেলে প্রবাসী রাজুুু খানের (২৬) পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপযার্য়ে দেশে এসে উভয়েই কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এ অবস্থায় কিছুদিন চলার পর তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি দেখা দিলে প্রেমিক রাজু প্রেমিকাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে এবং বিয়ের কথা অস্বীকার করেন বলেও জানান হীরা খাতুন। পরে নিরুপায় হয়ে তিনি শনিবার বিকালে নেত্রকোণার কেন্দুয়ার কাউরাট গ্রামে প্রেমিকের মামার বাড়িতে অবস্থান নেন। বিষয়টি কেন্দুয়া থানা পুলিশ অবহিত হয়ে হীরা খাতুনকে থানায় যেতে বলা হয়।
হীরা খাতুনের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে পুলিশ উভয় পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেন।
কেন্দুয়া থানার এস আই সামেদুল হক জানান, মেয়েটির মামা শশুর কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী রিপন মিয়ার আশ্রয়ে শনিবার রাতেই দেওয়া হয়েছে। রিপন মিয়া তার ভাগ্নের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রিপন মিয়ার মোঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পুলিশ আমাকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি জানিয়ে হীরা খাতুনকে আমার আশ্রয়ে দেন। ভাগ্নে রাজু খানের ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে এখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মেয়েটি বর্তমানে আমার কেন্দুয়ার বাসায় রয়েছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।