নেত্রকোণায় উপকারী ও অপকারী পতঙ্গ শনাক্ত করণের বিশেষ ফাঁদ স্থাপন

বিশেষ প্রতিনিধি:নেত্রকোণায় উদ্যমী কৃষি কর্মকর্তার একটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়েছে। জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম এর নির্দেশে মাঠে আলোর ফাঁদ স্থাপন করে বিদ্যমান পতঙ্গের সহজে সমীক্ষার সহজ পদ্ধতি বের করা হয়েছে। মাঠের পতঙ্গসমূহের তালিকা বা শ্রেণিকরণ এবং উপকারী ও অপকারী পতঙ্গ শনাক্তকরণ করে সংশ্লিষ্ট এলাকার উপযোগী ফসল নির্বাচনে কার্যকর পদ্ধতি বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এর সহযোগিতায় বৃহষ্পতিবার বিকেলে জেলার আটপাড়ায় এ পদ্ধতির সোলার লাইট ট্র্যাপের স্থাপন করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাবিবুর রহমান, আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ,আটপাড়া উজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নেত্রকোণা জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য একটি করে অর্থাৎ মোট ৮৬টি ‘সোলার লাইট ট্র্যাপ’ উপজেলা কৃষি বিভাগের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নের নির্ধারিত স্থানে স্থাপন করা হবে।
জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, বিশেষ এ ফাঁদের পোলের উপরের দিকে সোলার প্যানেল বসানো। তার নিচে রয়েছে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সংরক্ষণের জন্য একটি ব্যাটারি এবং একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব। বাল্বটি শুধুমাত্র রাতের অন্ধকারেই আলো বিতরণ করবে। বাল্বের নিচেই রয়েছে একটি ধারকে (holder) আটকানো একটি সহজলভ্য প্লাস্টিকের গামলা। রাতের বেলা এই গামলাতে ডিটারজেন্ট গোলানো পানি রেখে দেওয়া হবে। আলোর আকর্ষণে পতঙ্গ এসে এই ডিটারজেন্ট মিশানো পানিতে আছড়ে পড়ে চলৎশক্তিহীন হয়ে যাবে। পরদিন এগুলো সংগ্রহ করে শ্রেণিকরণ করা হবে।
তিনি জানান, পতঙ্গগুলো চিহ্নিত করা গেলে শুধুমাত্র অপকারী পোকাগুলো নিধনের জন্য কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে। ফলে কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাবে। কৃষকের চাষাবাদের খরচও কমবে। এ ছাড়া,পতঙ্গ-নকশা (insect-map) অনুযায়ী শস্যের প্রজাতি নির্বাচনও সহজ হবে। চাষাবাদের পরিবেশ কিছুটা হলেও ফুরেফুরে হবে। খাদ্যশৃঙ্খল হবে অধিকতর তাজা এবং কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত। টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়া হবে অনেকাংশে গতিশীল। তিনি আরো জানান, নেত্রকোণা জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য একটি করে অর্থাৎ মোট ৮৬টি ‘সোলার লাইট ট্র্যাপ’ উপজেলা কৃষি বিভাগের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নের একটি নির্ধারিত স্থানে স্থাপন করা হবে

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।