নেত্রকোণায় কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণা আবু আব্বাছ কলেজের শিক্ষার্থী ইয়াসমীন আক্তার এর ধর্ষক ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আবু আব্বাছ কলেজের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কলেজের সহকারি অধ্যাপক নাজমুল কবীর এর সঞ্চালনায় মানব্বন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সহ: অধ্যাপক নুরে আলম কাজল, মো: রফিকুল ইসলাম, সুব্রত কুমার সাহা, মো: মজিবুর রহমান ও স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থকে আব্দুর রাজ্জাক, কলেজের শিক্ষার্থী ফোরামের সদস্য প্রাপ্তি আক্তার,শফিউল আলম। কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন।
মানববন্ধনে কলেজের শিক্ষক,শিক্ষার্থী, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ফুফাতো ভাইয়ের সাথে বেড়তে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেলের আইসিইউতে দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়েছে কলেজ ছাত্রী ইয়াসমিনের (২৪)।
সে নেত্রকোণা পূর্বধলা উপজেলার খামারহাটি গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নেত্রকোণা সদর উপজেলার ত্রিপুর বালী গ্রামের মৃত হাশেম উদ্দিনের ছেলে আলমগীর (২৪) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ২১ আগস্ট বেড়ানোর কথা বলে নেত্রকোণা আবু আব্বাস কলেজের বিএ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইয়ামমিনকে ফুফাতো ভাই তার সহপাঠি আলমগীর তার কর্মস্থল ময়মনসিংহের তারাকান্দা নিয়ে যায়। পরে কোকের সাথে অচেতন ট্যাবলয়েড মিশিয়ে পান করালে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এরপর তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করলে অসুস্থ হতে থাকে ইয়াসমিন। পরদিন গরমে অসুস্থ হয়েছে বলে ২২ আগস্ট ইয়াসমিনের মাকে খবর দিয়ে শ্যামগঞ্জ রেললাইন এলাকায় মায়ের হাতে তুলে দেয় মেয়েকে। এরপর নেত্রকোণা আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখান থেকে ময়মনসিংহে প্রেরণ করে। অবস্থার অবনতিতে দেখে তাকে আইসিউতে রাখা হলে গত রবিবার ইয়াসমনি মারা যায়। এ ঘটনায় ইয়াসমিনের মা মোছাঃ নাছিমা খাতুন বাদী হয়ে রবিবার রাতেই আসামী আলমগীরের নাম উল্লেখসহ আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত করে পূবর্ধলা থানায় মামলা দায়ের করেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।