তিন দিনে দুইবার ভ্রাম্যমান আদালতে দণ্ডিত হলেন তিনি !

কেন্দুয়া প্রতিনিধি: মাত্র তিনদিন আগে র‌্যাবের অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা গুণেন তিনি। তিনদিন পর আবারো একই অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ভুয়া সাইনবোর্ড টানিয়ে প্রতারণা করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিল মোজাম্মেল হক নামে এক ভুয়া চক্ষু চিকিৎসক। গত সোমবার (১৯আগস্ট) কেন্দুয়া উপজেলার রামপুর বাজারে মায়ের দোয়া ফার্মেসী থেকে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) একই ব্যাক্তিকে কেন্দুয়ার একটি ফার্মেসী থেকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এক লাখ জরিমানা করেছেন।
ভ্রাম্যমান আদালত ও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন সুলতানা এবং র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প এর যৌথ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার রামপুর বাজারে মায়ের দোয়া ফার্মেসীর চেম্বার হতে মোজাম্মেল হক নামে এক চক্ষু চিকিৎস’কে তার ডাক্তারি কাগজ পত্র দেখাতে বললে তা দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে।
কিন্তু সেই ভুয়া চিকিৎসক বাড়িতে বসে না থেকে আবারো বৃহস্পতিবার (২২আগস্ট) চক্ষু রোগী দেখার জন্য কেন্দুয়া পৌর সদরে কেন্দুয়া ফার্মেসীর চেম্বারে তিনি একজন এমবিবিএস ডাক্তারকে সাথে করে নিয়ে চক্ষু রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে নিজেকে আবার চক্ষুু চিকিৎসক’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।
এ সময় খবর পেয়ে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রুহুল ইসলাম তাকে আটক করে জানতে চাইলে তিনি বলেন রোগী দেখছেন না, শুধু ভিশন টেস্ট করছেন কিন্তু দেখা গেলো, ভিশন টেস্ট করে প্রদত্ত ব্যবস্থাপত্রে নিজেকে ‘চক্ষু চিকিৎসক’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।
এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তাকে প্রশ্ন করলে তিনি স্বীকার করলেন, ভুল হয়েছে,বুঝতে পারেননি। তাই ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০এর ২৮(১)২৯(১) ধারার অপরাধে পুনরায় এক লক্ষ টাকা অর্থদ-,অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ড আরোপ করেন। পরে এই ভূয়া চিকিৎসক নগদ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড দিয়ে চলে যান। তিনি উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের বহুলী গ্রামের সাহাব উদ্দিন এর ছেলে মোঃ মোজাম্মেল হক।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।