প্রেমের টানে পালিয়েছে স্কুলছাত্রী: কেন্দুয়ায় বিনাদোষে জেল খাটছে সুজিত

বিশেষ প্রতিনিধি: সুজিতের বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ। অভিযোগের প্রক্ষিতে পুলিশ তাকে আটকে করে কারাগারেও পাঠিয়েছে এক মাস আগে। কিন্ত এঘটনার একমাস ছয়দিন পর ওই ছাত্রী উদ্ধার হয়েছে গাজিপুর থেকে। এরপর খুলেছে রহস্যে জট।
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় আশুজিয়া জেএনসি একাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্রী দ্বিপ্তী রানী নিখোঁজের ১ মাস ৬ দিন পর বৃহষ্পতিবার গাজীপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান।
ওসি বলেন, কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের ভটেরগাতী পাড়াদুর্গাপুর গ্রামের শিরীষ বিশ্বশর্মার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী দ্বিপ্তী রানী ১৬ জুলাই স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরের দিন এ ব্যাপারে নিখোঁজ ছাত্রীর পিতা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কেন্দুয়া থানা পুলিশ বুধবার (২১আগস্ট) গভীর রাতে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকা থেকে দ্বিপ্তী রানীকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দুয়া থানায় নিয়ে আসা হয়।
এদিকে দ্বিপ্তী রানী জানায়, “কেউ আমাকে অপহরণ করেনি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার সিংরাউন্দ গ্রামের মুসলিম পরিবারের আব্দুল হাই এর ছেলে আব্দুল হান্নানের সাথে। সে পেশায় একজন রড মিস্ত্রী। তার সাথে দুই বছরের প্রেমের টানে সেদিন (১৬ জুলাই) আশুজিয়া থেকে আমি ঈশ্বরগঞ্জ চলে যাই। পরে আব্দুল হান্নানের সঙ্গে পালিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীতে চলে আসি। সেখানে মুন্সী দিয়ে বিয়ে পড়ানোর পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতেছি। নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে আমার নাম সানজিদা আক্তার রুনা। আমি বাবার কাছে যেতে চাই না, স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাই।”
উল্লেখ্য, দ্বিপ্তী রানী নিখোঁজের পরদিন ১৭ জুলাই তার বাবা শিরীষ বিশ্বশর্মা বাদী হয়ে দীপ্তির এক সহপাঠি মনি বর্মণসহ তার দুই ভাই সুজিত বর্মণ ও প্রদীপ বর্মণকে আসামি করে মামলা কেন্দুয়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় উপজেলার আশুজিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন বর্মণের ছেলে সুজিত বর্মণকে (২৫) গ্রেফতার করে ১৯ জুলাই আদালতে পাঠায় পুলিশ। বর্তমানে সুজিত বর্মণ একমাস ধরে জেল হাজতে রয়েছেন।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।