ময়মনসিংহে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নেত্রকোণার একই পরিবারের নিহত-৪

ময়মসসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজন নিহত আহত হয়েছেন দুই জন। সবাই নেত্রকোণার দূর্গাপুর উপজেলার বাসিন্দা।

নিহতরা হলেন, নরসিংদীর মাধবদি বাংলা টেক্সটাইলের মালিক রফিকুল ইসলাম (৪৫), তার স্ত্রী শামসুন্নাহার শাহানা (৩৫), কলেজ পড়ুয়া ছেলে নাবিল ইসলাম (১৮) ও মেয়ে রওনক জাহান (১৩)। তাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা জেলার সুসং দূর্গাপুরে। নরসিংদী জেলার মাধবদিতে বসবাস করতেন তারা। সপরিবারে ঈদের ছুটিতে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর শ্বশুড়বাড়ি এসেছিলেন রফিকুল ইসলাম

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানায়, রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন ঈদের ছুটি শেষে নিজের প্রাইভেটকারে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর শ্বশুড়বাড়ি এসেছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর নামক স্থানে পৌঁছালে কিশোরগঞ্জগামী এমকে পরিবহনের দ্রুত গতির একটি বাস ওভারটেক করার সময় তাদের চাপা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই রফিকুল ইসলামের স্ত্রী শামসুন্নাহার শাহানা মারা যান।

খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থল পৌঁছে গুরুতর আহত অবস্থায় রফিকুল ইসলাম, মেয়ে রওনক জাহান ও দুই ছেলে নাবিল ইসলাম ও নাহিদ এবং প্রাইভেটকারচালক সেলিমকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম, নাবিল ইসলাম ও রওনক জাহানকে মৃত ঘোষণা করেন।

গৌরীপুর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিয়া জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি বাস ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ যাচ্ছিল। প্রাইভেট কারটি নেত্রকোণার দূর্গাপুর থেকে ময়মনসিংহ হয়ে নরসিংদী যাচ্ছিল। ওভারটেক করার সময় বাস প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ বাধে এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের যাত্রী শাহিনা আক্তার মারা যায়। বাকি পাঁচজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তিনজন মারা যান। আহত দুইজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।