
বিশেষ প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় জাতির জনক বঙ্গুবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সসাড়ে তিনটার দিকেু শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ জেলা শাখা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের স্থানীয় সাংসদ ও জেলা মহিলালীগের সাধাপারণ সম্পাদক হাবিবা রহমান খান।
সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহ আলম শামীম। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আল রাকিব। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছাড়াও বক্তব্য দেন, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম খান, প্র্রেসক্লাব সম্পাদক শ্য্যামলেন্দু পাল, কেন্দ্রীয় রেডক্রিসেন্টের নির্বাহী সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্র্রমবিষয়ক সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন, নেত্রকোণা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, জেলা ছালীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান জনি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক বেদনাবিধুর দিন। স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘাতকচক্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম মহানায়ক। তিনি একটি চেতনার নাম। তিনিই বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮-এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ৬৬-এর ৬-দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দেন। তিনি বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে কখনো আপস করেননি। তিনি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং তাঁরই নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়। তাঁর চিন্তা-চেতনায় সবসময় কাজ করত বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশ। তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য আজ এ দেশের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। তিনি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। একাত্তরের পরাজিত শক্তি তাঁকে হত্যা করে জাতির অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেুশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। যতদিন বাংলাদেশ নামক এই ভূখণ্ড থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু বাঙালিজাতির মাঝে বেঁচে থাকবেন।’