মদনে ঝুকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজেই চলছে যানবাহন

ফয়েজ আহম্মদ হৃদয়, মদন থেকে: নেত্রকোণার মদন উপজেলার প্রবেশ পথ মদন-নেত্রকোণা সড়কে বয়রাহালা নদীর ওপর বেইলি ব্রিজটির কিছু অংশের পাটাতন জং ধরে ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় দিন দিন ঝুঁিকপূর্ণ হয়ে পড়ছে। যেকোন সময় ভেঙে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশষ্কা রয়েছে। প্রায় সময়েই এ ব্রিজের পাটাতন ভেঙে যানচলাচলের বিঘœ ঘটলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন জোড়াতালি দিয়ে সাময়িক চলাচলের সুযোগ করে দেয়। বাস্তবে দেখা দেখা গেছে অধিকাংশ পাটাতনে জং ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাথে এ ব্যাপারে সোমবার যোগাযোগ করা হলে বেইলি ব্রিজটির অবস্থা ভালো নয়,অচিরেই মেরামত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
২৫ বছর পূর্বে নির্মিত ওই ব্রিজটি দিয়ে বড় বড় যানবাহন চলাচল করায় এবং সেতুটি অপ্রশস্ত থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ১৯৯৩ সালে এই নদীর উপর বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয় বলে সড়ক ও জন পথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু এ সময় থেকেই এলাকাবাসি প্রশস্ত ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানালেও নতুন করে প্রশস্ত ব্রিজ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। গত ২৫ বছরে হাওরের দুটি উপজেলার অতিরিক্ত পণ্যবাহী ট্রাকসহ যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। শুরু থেকেই ওই ব্রিজে একদিক দিয়ে ট্রাক বা বাস উঠলে অপরদিক থেকে অন্য কোনো যান আসতে পারে না। কেবল ছোট ছোট যানবাহন দু’দিক থেকে চলতে পারে। অপ্রশস্ত ব্রিজের কারণে বিভিন্ন সময়ে যানবাহনের সংঘর্ষে প্রাণ হানির ঘটনাও ঘটছে। তবে এ ব্রিজের যে অবস্থা যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটার আশষ্কা রয়েছে।
কাইটাইল ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়েত উল্লাহ রয়েল, মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালক খোকন,বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাজু ভূঁইয়া স্থানীয় বাসিন্দা লাখ মিয়া বলেন, এ ব্রিজটি যে কোন মূহুর্তে ধসে প্রাণ হানির আশষ্কা রয়েছে। এ পথে প্রতিদিন দুই উপজেলার শতশত যানবাহন চলাচল করে থাকে। ব্রিজটির পাটাতন প্রায়ই ভেঙে যায় এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ দায়সারা গোচের কাজ করে যাওয়ায় কিছু দিন যেতে না যেতেই আবার নষ্ট হয়ে যায়। জনগণের ভোগান্তি দূর করার জন্য তাদের দাবি দ্রুত এ ব্রিজটি ভেঙে পাকা গার্ডার প্রশস্ত ব্রিজ নির্মাণ করা হোক।
নেত্রকোণার সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাকিরুল ইসলাম নেত্রকোণা-মদন সড়কে বয়রাহালা বেইলি ব্রিজে সমস্য হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সোমবার খবর পেয়েছি অচিরেই লোকপাঠিয়ে মেরামত করা হবে।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।