নেত্রকোণায় কোরবাণীর জন্য সোয়া লাখ পশু মোটাতাজা করছেন খামারীরা

বিশেষ প্রতিনিধি : ঈদকে সামনে রেখে কোরবানি গরু মোটাতাজা করণে ব্যস্ত সময় পার করেছন নেত্রকোণার পশু খামারিরা। জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে জেলায় এ বছর প্রায় ১ লাখ ত্রিশ হাজরেও বেশী পশু তৈরী করেছেন খামারিরা। যদিও চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার পশুর।
ইতোমধ্যে দেশীয় খাবার ব্যাবহার করে ৫০ মন ওজনের গরু পালন করে বেশ সারা ফেলেছেন নেত্রকোণা সদরের দুলাল মিয়া নামে এক খামারি। তার পশু পালন দেখে অনেকেই এখন ঝুঁকছেন গুরু মোটাতাজা করণের কাজে।
এদিকে পশু তৈরীতে যেন কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার না হয় সেদিকে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ।
নেত্রকোণা সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নে টেংগা গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি দুলাল মিয়া। মাত্র তিন বছর লালন পালন করে একটি ষাড় ৫০ মণেরও বেশী ওজন বানিয়েছেন তিনি। পশুটি স্বভাবে শান্ত হওয়ায় আদর করে নাম রেখেছেন শান্তরাজ। তার এই পশু পালনে সহায়তা করেছেন পরিবারে অন্যান্য সদস্যরাও। বিশাল আকৃতির এই গরুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পাড়ায় প্রতিদিনই তার বাড়িতে ভিড় করছেন ক্রেতাসহ সাধারণ মানুষ। ইতোমধ্যে গুরুটির দাম হয়েছে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা।
ঈদ বাজারে ভালো দাম পেলেই কেবল পশুটি বিক্রি করবেন বলে জানান দুলাল মিয়া। তার সফলতা দেখে উৎসাহিত হয়ে স্থানীয় অনকেই এখন ঝুঁকছেন পশু লালন পালনের কাজে। অন্যদিকে মৌগাতি ইউনিয়নের ক্ষুদ্র খামারি মনিরুজ্জামান রাসেল জানান, গত কয়েক বছর ধরে গরু মোটাতাজা করে লাভবান হওয়ায় এ বছর পশুর সংখ্যা বড়িয়েছে তিনি। বর্তমানে তার খামারে ১ থেকে ৫ লাখ টাকা মূল্যের কয়েকটি গরু তৈরী করেছেন। তাই বাহির থেকে গরু আমদানি বন্ধ থাকলে এবারও লাভের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তার সফলতা দেখেও অনেক বেকার যুবকই এখন উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন গরু লালন পালনে।
এদিকে পশু মোটাতাজা করণে কেউ যেন কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করতে না পারে সেদিকে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. এনামুল হক। সেই সাথে ঈদ বাজার মনিটরিং কার্যে সার্বক্ষনিক টিম থাকবে বলেও জানান তিনি।
তাই দেশীয় খামাড়িদের কথা মাথায় রেখে বাহির থেকে পশু আমদানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার এমন প্রত্যাশাই সংশ্লিষ্ট খামারিরা।

শর্টলিংকঃ
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। পাঠকের মতামতের জন্য কৃর্তপক্ষ দায়ী নয়। লেখাটির দায় সম্পূর্ন লেখকের।